সংক্ষিপ্ত
মাস তিনেক আগে অন্তঃসত্ত্বা বলে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপর থেকেই নিখোঁজ। থানায় গিয়েও জানিয়েছিলেন বৌ’কে খুঁজে না পাওয়ার কথা। হঠাৎই সমাজমাধ্যমে দেখলেন তার নিখোঁজ স্ত্রী স্নেহা বা ‘নির্মলা’ অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলেছেন।
স্ত্রীর চতুর্থ বিয়ের ছবি দেখে থানায় গেলেন তৃতীয় স্বামী! এই লাইনটা পড়েই অবাক হচ্ছেন তো! এমনই ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের দাভাঙ্গেরের কেটিজে নগরে। কী ঘটেছিল গোটা ঘটনা! ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্নেহাকে বিয়ে করেন প্রশান্ত। স্নেহার সঙ্গে সমাজমাধ্যমেই আলাপ হয় তার। তারপরেই শুরু হয় প্রেমপর্ব। স্নেহা মান্ডা জেলার নারাহাল্লির বাসিন্দা।
এরপর মাস তিনেক আগে অন্তঃসত্ত্বা বলে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপর থেকেই নিখোঁজ। থানায় গিয়েও জানিয়েছিলেন বৌ’কে খুঁজে না পাওয়ার কথা। হঠাৎই সমাজমাধ্যমে দেখলেন তার নিখোঁজ স্ত্রী স্নেহা বা ‘নির্মলা’ অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলেছেন।
প্রশান্ত ২১ ডিসেম্বর দাভাঙ্গেরের কেটিজে নগর থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান। তার ক’দিন পরেই ইনস্টাগ্রামে স্ত্রীর বিয়ের খবর থেকে হতবাক হয়ে যান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে প্রশান্ত বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বাপের বাড়ি চলে যায় স্নেহা। সেখানেই ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত করিয়েছে ও। অন্য কাউকে বিয়ে করবে বলেই এই কাজ করে স্নেহা। এই সব বিষয় আমাকে কিছুই জানোনো হয়নি। আমাদের দেড় বছরের বিবাহিত জীবন ছিল। ও আমায় না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমি সত্যিই ভেঙে পড়েছি।’’
প্রশান্ত বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগেই স্নেহার দু’টি বিয়ে হয়েছিল। সেই বিষয়েও আমাকে ওর বাড়ির তরফে কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি স্নেহার পরিবারের এক জন আমাকে ওর আগের বিয়েগুলির কথা জানায়।’’
সমাজমাধ্যম ঘাটতেই প্রশান্তের চোখে পড়ে কয়েক মাস ধরে তিনি যে বৌয়ের খোঁজ করছিলেন, তিনি অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ইনস্টাগ্রামে স্নেহার সঙ্গে রঘুর বিয়ের ছবি দেখে চমকে গিয়েছিলেন প্রশান্ত। মাস তিনেক আগে অন্তঃসত্ত্বা বলে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন প্রশান্তের স্ত্রী। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।