সংক্ষিপ্ত
আগামী ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার দিল্লিতে (Delhi) কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বীরভূমের (Birbhum) বাগটুইয়ের (Bagtui) বিড়ম্বনার মধ্যেই নতুন করে সমস্যা বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জন্য। কারণ আবারও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) আবারও কয়লা কেলেঙ্কারির (Coal Scam) জন্য তলব করেছে। আগামী ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার দিল্লিতে (Delhi) কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩৪ বছরের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় , তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদকও। এর আগে কয়লা কেলেঙ্কারি ইস্যুতে অভিষেকরা প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরে করেছিল এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরটের আধিকারিকরা। সেই সময় তিনি বেলা ১১টা নাগাদ ইডির অফিসে জেরা করেছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়েছিলেন রাত ৮টা নাগাদ।
সেইসময় ইডির বলেছিল আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীকে তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করেছে। অভিষেকের বয়ানয়ও নথিভুক্ত করেছে। অন্যদিকে অভিষেকের দাবি ছিল তিনি আইন মেনে চলেন। নাগরিক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। তাই তিনি কয়লা কেলেঙ্কারি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।
যাইহোক মঙ্গলবার থেকেই বীরভূম ইস্যুতে বাংলার রাজনীতি উত্তপ্ত। রামপুরহাটে ৮ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কোনঠাসা করতে ঘুঁটি সাজারে শুরু করেছে বিজেপি ও বামরে। দুই পক্ষই ইতিমধ্যে বীরভূম সফর করেছে। পাল্টা হিসেবে রামপুরহাটে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থায়ীদের দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের করুণ পরিণতি হল বাগটুই গ্রাম। এই অবস্থায় নতুন করে কয়লা কেলেঙ্কারির জন্য অভিষেককে ইডির তলব রাজ্য রাজনীতে তৃণমূলকে আরও কিছুটা কোনঠাসা করতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে বিধানসভা ভোটের আগেও অভিষেককে তলব করা হয়েছিল। পুজোর সময় গরু পাচারকাণ্ডে আবারও সক্রিয় হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই সময অভিষেকের স্ত্রীকেও তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। যা নিয়ে উষ্ণা প্রকাশ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধ সরব হন।