সংক্ষিপ্ত
উন্নয়নে -আগরতলার উন্নয়নেই সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে। সেখানে বলা হয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন ও মহিলা সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শৌচাগার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্য ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Election)। তার আগে ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তবে ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেয়নি ঘাসফুল শিবির । তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র আগরতলা (Agartala)। সেই আগরতলা পুরপুনিগন নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। নির্বাচনের মাত্র ৯ দিনে আগেই দলের ইস্তেহার (manifesto )প্রকাশ করা হল। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে আগরতলার উন্নয়নের জন্য ৯টি দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। দলের ইস্তাগারের নামও রাখা হয়েছে সেইমত 'আগরতালার জন্য নবরত্ন'।
উন্নয়নে - আগরতলার উন্নয়নেই সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে। সেখানে বলা হয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন ও মহিলা সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শৌচাগার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ২টি বায়ো টয়লেট নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। আগরতলা শহরের চারটি প্রধান এলেকায় বিনামূল্যে হাইস্পিড ওয়াইফাই সুবিধে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বাজার ও পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের ওপরেও জোর তৃণমূলের ইস্তেহারে।
সুরক্ষায় - সুরক্ষার কারণে প্রতি ৩০০ মিটার অন্তর রাস্তায় আলো ৩০ প্রধান চৌমাথায় বাতিস্তম্ভ লাগানো হবে। শহরের ১০০ শতাংশই সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা হবে। দিন ও রাতে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য টহলদারি ভ্যান চলবে শহরে। নারীদের জন্য পিঙ্ক অটো ট্যাক্সি চালানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হবে।
নিকাশি ব্যবস্থা- নিকাশি ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।পাশাপাশি বর্জ্যের বৈজ্ঞানিক ব্যবহার যাতে করা যার তারও ব্যবস্থা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
TMC vs BJP: অধ্যাদেশের অপব্যবহার করেছে মোদী সরকার, ডেরেকের দাবির পাল্টা দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
Communist Wedding: সাত পাকে বাঁধা পড়লেন এঙ্গেল, সাক্ষী থাকলেন লেনিন, মার্কস আর হো-চি-মিন
First Audit Diwas: CAG ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান, প্রথম অডিট দিবস অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নাগরিক সুবিধে- প্রতি পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হবে নাগরিক সুরক্ষা কেন্দ্র। সেখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। নাগরিকদের সমস্যাগুলি দ্রুত নিস্পত্তি করা হবে। হ্যালো মেয়র প্রোগ্রামও চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যে কোনও নাগরিক নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন বা পরামর্শ দিতে পারেন।
কর- আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই জলের ওপর থেকে সব কর বাতিল করা হবে। যেসকল পরিবারের মোট আয় ১০ লক্ষেরও কম তাদের জন্য সম্পত্তি কর ২০ শতাংশ কমানো হবে।
এছাড়াও পরিশ্রুত পানীয় জল, হকার সমস্যা সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র শহরবাসীর জন্য একাধিক সুবিধের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরসভার কর্মীদের কল্যাণে একাধিক সুবিধে প্রদান করা হবে বলেও প্রতিশ্রু দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব, অর্পিতা ঘোষ, সুখেন্দু শেখর রায়, ইন্দ্রনীল সেনের উপস্থিতেই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। আসন্ন পুর-নির্বাচনের জন্য তৃণমূল প্রার্থীরা সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং ত্রিপুরা রাজ্যের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করবেন। দলের ইশতেহার সহ আগরতলার জনগণের উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রার্থীরা একসঙ্গে শপথ নেন।