সংক্ষিপ্ত
করোনা মোকাবিলায় পথ দেখাবে আয়ুর্বেদ
তেমনই দাবি করছে আয়ুষ মন্ত্রক
শুরু হয়েছে পরীক্ষা
এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে ট্রায়ল রান
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখনও কোনও প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি। পাওয়া যায়নি কোনও ওষুধও। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এইডসসহ একাধিক রোগের মত করোনাভাইরাসও নির্মূল হবে না। কিন্তু তারপরেও আশাবাদী দেশের আযুষ মন্ত্রক। এখনও দেশের চিরাচরিত ওষুধের ওপরই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ৪টি ওষুধ নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রকের সঙ্গে রয়েছে কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা সিএসআইআর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়াল রান শুরু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপ্রদ নায়েক। তিনি আরও বলেছেন রোগীদের ওপর এটি থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা বা যন্ত নেওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপ্রদ নায়েক আরও জানিয়েছেন করোনা মোকাবিলায় চিরাচরিত ওষুধ ও প্রচিন প্রথাই কাজে দেবে বলে তিনি নিশ্চিত।
করোনাভাইরাস রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধ বার হয়নি। তাই চিকিৎসকরাও পরীক্ষামূলকভাবেই এই রোগের চিকিৎসা করছেন নানা রকম ওষুধ দিয়ে। কখনও ফল পাওয়া যাচ্ছে কখনও আবার বিফল হতে হচ্ছে তাঁদের। এই জীবানুর বৈশিষ্ঠ নিয়ে এখনও পরীক্ষা চালাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আয়ুর্বেদ বা অন্য কোনও ওষুধও এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সেই ক্ষেত্রও গবেষণা চলছে। তবে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ নিয়েই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রায়াল রানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে প্রাচীন কাল থেকেই ভারত ভেষজ ওষুধের ওপরই ভরসা রেখেছিল। নিম তুলসীর মত বেশ কয়েকটি পাতা আজও বহু মানুষের জীবনের সঙ্হে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত রয়েছে। যা আয়ুষ মন্ত্রকের আশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় ভেষজ ওষুধ কতটা স্বস্তিত আনবে, কী বলছে আয়ুষ মন্ত্রক ...
আরও পড়ুনঃ নির্মলার ঘোষণার পরেও অন্ধকার দাদল স্ট্রিটে, বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই পতন ...
সূত্র মারফত জানাযাচ্ছে করোনা মোকাবিলায় অশ্বগব্ধা, গাড়ুচি, পেপলি যষ্ঠীমধুর মত বনৌষধিকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার দিকে এগিয়ে মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই চারটি উপাদান নিয়ে শুরু হয়েছে পরীক্ষাও। বর্তমানে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশের বহু মানুষ।