সংক্ষিপ্ত

মহারাষ্ট্রে এক মহিলা যৌন হেনস্থার শিকার হতে গেলে আত্মরক্ষার জন্য খুন্তি দিয়ে পুরুষের যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। পুরুষটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মহিলারা! প্রায় তেমনই ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রে। এক মহিলা পুরুষের লালসার শিকার থেকে নিজেকে মুক্ত করলে খুন্তির আশ্রয় নিয়। হাতের কাছে থাকা খুন্তির এমন বাড়ি যৌনাঙ্গে মালর যে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে হল হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছ মহিলা ও পুরুষ একে অপরকে চিনত। কিন্তু পুরুষটি মহিলার অনুমতি ছাড়াই যৌনতা করতে চাইছিল। সেই কারণে মহিলা আত্মরক্ষার জন্যই পুরুষের যৌনাঙ্গে ধাতুর তৈরি খুন্তির বাড়ি মারে।

পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম সত্যনারায়ণ রাচ্চা। বছর ৩০। ভিওয়ান্ডি এলাকার বাসিন্দা তাঁর বাড়িতেই ২৬ বছরের মহিলা থাকেন। যিনি পরিচারিকার কাজ করেন। যার দিকে অশ্লীলভাবে এগিয়ে যায়। যৌন হেনস্থা করতে চায়। তেমনই অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা মহিলা। নির্যাতিতা মহিলা আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ সত্যনারায়ণ বাড়ি ফেরে। সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে যৌনতা করতে চায়। সেই সময়ই মহিলা রান্নাঘর থেকে হাতের কাছে থাকা খুন্তি দিয়েই আত্মরক্ষা করতে চায়।

মহিলা জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে রক্ষা করার জন্য রান্নাঘরে ছুটে যায়। পড়ে থাকা ধাতব খুন্তি তুলে নিয়ে আসে। সেই খুন্তি দিয়ে সত্যনারায়ণের যৌনাঙ্গে জোরে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় সত্যনারায়ণকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়এছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যনারায়ণ রাচ্চার বিরুদ্ধে এফআইআর জায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মহিলার শ্লীলতাহানি, যৌনহয়রানি, অবৈধ অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সত্যনারায়ণ হাসপাতালে থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি।

গত মাসে, বিহারের একজন মহিলা তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় সারান জেলার একজন পুরুষের গোপনাঙ্গ আক্রমণ করে কেটে ফেলেছিলেন বলে জানা গেছে। মহিলাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মহিলা জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি তার সঙ্গে গত দুই বছর ধরে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও গিয়েছে। কিন্তু এখন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।