সংক্ষিপ্ত
এই পরিবার দুই পৃষ্ঠার একটি ডেথ নোটে তাদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এক লক্ষ টাকার ঋণের কথা উল্লেখ করেছেন। এই এক লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যার জেরে এই পথ বেছে নেয় এই পরিবার।
কর্নাটকের তুমকুর জেলার সদাশিবনগরের এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল গোটা শহর। পাঁচজনের একটি পরিবার গরীব সাব (৩২), তার স্ত্রী সুমাইয়া (৩০), তাদের মেয়ে হাজিরা (১৪), এবং ছেলে মোহাম্মদ সুবহান (১০) ও মোহাম্মদ মুনির (৮)। পরিবারটি চার মাস আগে সদাশিবনগরে আসে। আগে তুমকুর শহরের সদাশিবনগরের তৃতীয় ক্রস-এ একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। এই পরিবার দুই পৃষ্ঠার একটি ডেথ নোটে তাদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এক লক্ষ টাকার ঋণের কথা উল্লেখ করেছেন। এই এক লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যার জেরে এই পথ বেছে নেয় এই পরিবার।
গরীব সাব ও তাঁর পরিবার মিলে শহরের বুকে একটি ছোট্ট কাবাবের দোকান চালাতেন। তাদের এই মর্মান্তিক পরিণতি হওয়ার আগে, গরিব সাব একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। এসপি অশোক ভেঙ্কট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, এবং তিলকপার্ক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেনে নিন ঠিক কি ঘটেছিল-
ঘটনাটি ঘটে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ। পাঁচজনের একটি পরিবারের দুইজনকে তাদের সদাশিবনগর বাসভবনে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। প্রশানিক কর্মকর্তারা পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। এদিকে তিন শিশুকে তাদের বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই পরিবারটি মূলত শিরা তালুক লাক্কানাহাল্লির বাসিন্দা।
এই ঘটনা ঘটার আগে, গরিব সাব তার আত্মীয়দের কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যে বিষয়বস্তু কর্তৃপক্ষ তথ্যের জন্য তদন্ত করার পরিকল্পনা করেছে। ভিডিও বিষয়বস্তু এবং দায়েরকৃত অভিযোগ উভয়ের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তুমকুর এসপি অশোক কেভি নিশ্চিত করেছেন যে গরীব সাব, যিনি একটি কাবাবের দোকান চালাতেন, তিনি এক বছর ধরে সদাশিবনগরে বসবাস করছিলেন।