সংক্ষিপ্ত

যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। শেষ সময়ে ট্রেনগুলি বাতিল হওয়ায় হয়রানি বাড়বে যাত্রীদের।

অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত তিনটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। প্রায় ২০০ টি ট্রেনের চলাচলের ওপর প্রভাব পড়েছে। ৩৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে গোটা দেশ উত্তাল। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। শেষ সময়ে ট্রেনগুলি বাতিল হওয়ায় হয়রানি বাড়বে যাত্রীদের। এদিন সকালে নতুন করে বিক্ষোভ হলে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন আধিকারিকরা।

ইস্ট - সেন্ট্রাল রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পরই ওই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবোধ অসম এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস, নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫৪৮৩ আলিপুরদুয়ার দিল্লি এক্সপ্রেস, ১৫৯০৯ ডিব্রুগড় লালগড় এক্সপ্রেস, ১২৫০৫ কামক্ষ্যা আনন্দবিহার এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।  ১২৫০৮ শিলচর ত্রিভান্দ্রাম এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও শিলচর ত্রিভান্দ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে গুয়াহাটি থেকে কামাক্ষ্যা হয়ে গোয়ালপাড়া টাউন হয়ে নিউ বঙ্গাইগাঁও দিয়ে পরিচালনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আগামীতে আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কি এই অগ্নিপথ প্রকল্প? সেনা বাহিনীতে স্বল্প মেয়াদে চুক্তির ভিত্তিতে সেনা কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে চলতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় সেনা বাহিনীতে প্রায় ৪৬০০০ তরুণকে নিয়োগ করা হবে। যাদের নাম দেওয়া হবে 'অগ্নিবীর'। 

এই প্রকল্প শুরু হওয়ার সময়, সশস্ত্র বাহিনীতে সমস্ত নতুন নিয়োগের জন্য প্রবেশের বয়স সাড়ে সতেরো বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে রাখা হয়েছিল। তবে করোনা মহামারীর জন্য বিগত দুই বছরে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তাই কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত যে ২০২২ সালের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী, ২০২২ সালের জন্য অগ্নিপথ স্কিমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সের ঊর্ধ্ব সীমা ২৩ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

এদিকে, চুক্তির ভিত্তিতে সেনায় নিয়োগ প্রকল্প বাতিল করার দাবি উঠেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটিকে রূপান্তরমূলক প্রকল্প বলে অভিহিত করেছে। এতদিন অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলন উত্তর ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই এদিন থেকে তা দক্ষিণভারতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিনেই তা হিংসাত্মক রূপ নেয়।