সংক্ষিপ্ত
উত্তর প্রদেশ পুলিশের প্রথম সমস্যা হল, মহিলা কনস্টেবল হিসেবে দুই মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছে।পুলিশকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হলে তারা অস্ত্রোপচার করে পুরুষ কনস্টেবল হিসেবে কাজে যোগ দেবে।
তথৈবচ অবস্থা উত্তর প্রদেশ পুলিশ। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের এমন অবস্থা আগে কখনও হয়নি। কারণ উত্তর প্রদেশ পুলিশের দুই মহিলা কনস্টেবল লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য সম্প্রতি আবেদন করেছেন। একজন গোরখপুরের, অন্যজন গোন্ডার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁরা লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চেয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকে অনুমতি চেয়েছেন।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন নতুন কোনও ব্যপার নয়। উত্তর প্রদেশের মত রাজ্য এটি কোনও নতুন ঘটনাও নয়। তবে রাজ্য পুলিশ প্রথমবার এজাতীয় আবেদেন পেয়েছে। তাই একাধিক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের প্রথম সমস্যা হল, মহিলা কনস্টেবল হিসেবে দুই মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার পর তারা কীভাবে নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে? এটাই জটিল প্রশ্ন। উত্তর প্রদেশ পুলিশ এই বিষয়ে অনুমতি দিতে পারে কিনা তাও কতিয়ে দেখছে। রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মত অনুসারে, দুই কনস্টেবল লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল। তারা একাধিক কারণ উল্লেখ করেছিল। কর্তৃপক্ষ মনে করছে দুই মহিলা পুলিশকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হলে তারা অস্ত্রোপচার করে পুরুষ কনস্টেবল হিসেবে কাজে যোগ দেবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দুই কনস্টেবলের থেকে প্রয়োজনীয় শারীরিক মানদণ্ডগুলি পুরণ হবে কিনা তা নিয়ে রীতিমত সংকটে কর্মকর্তারা। অন্যদিকে এতে মহিলা কনস্টেবলের সংখ্যাও কমে যাবে নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর, পুরুষ ও মহিলা বিভাগের জন্য উচ্চতা, দৌড়ানোর ক্ষমতা ও কাঁধের শক্তি - এগুলি হল শারীরিক মানদণ্ড। মহিলা পুলিশ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তরা পুরুষ পুলিশ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্টের শর্ত পুরণ করতে পারবে না। তাই রাজ্য পুলিশ সক্ষমতার দিক থেকে পিছিয়ে যাবে।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্তা বলেছেন, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য নিয়োগের মানদণ্ড কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। মহিলা কনস্টেবলরা তাদের লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষে পরিণত হলে তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করা হবে। দুই মহিলা কনস্টেবলের মধ্যে একজন লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি না পেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। জানুয়ারি থেকেই চলছে সেই মামলা।
আদালত পুলিশ হেডকোয়ার্টরকে মহিলা কনস্টেবলের অনুরোধ আরও একবার খতিয়ে দেখতে বলেছে। ভবিষ্যতে এজাতীয় আবেদন আরও জমা পড়তে পারে। সেজন্য এই বিষয়ে কিছু নিয়ম তৈরির কথাও বলেছে। পাশাপাশি মেধার ভিত্তিকে কনস্টেবল নিয়োগের কথাও বলেছে আদালত।
অন্যদিকে সূত্র বলছে পুলিশ কর্তারা কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব লক্ষ্মৌকে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার আবেদন জানিয়েছে। বোর্ডই মহিলা কনস্টেবলদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করবে ও তাদের কাউন্সেলিং করবে। তবে এই সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগীর পুলিশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপেক্ষর সঙ্গে কথা বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্টে বলে ডিসেম্বর মাসে।।