সংক্ষিপ্ত
উজ্জয়িনী ধর্ষণের অভিযুক্ত ভরত সোনির বাবা রাজু সোনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, তাঁর ছেলে এমন একটি কাজ করতে পারে। তিনি অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।
১২ বছরের নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনা শুনে থমকে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ, তারপর সেই ধর্ষণের সঙ্গে নিজের ছেলের জড়িত থাকার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন উজ্জয়িনীকাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা। সংবাদমাধ্যমের সামনে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কামনা করেছেন তিনি। এই কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর ছেলে সত্যিই জড়িত থাকলে তারও বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়, তারপর রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন অবস্থায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছিল অসহায় নাবালিকা। সাহায্যের বদলে জুটেছিল সামান্য কিছু টাকা। সেই ঘটনার ভিডিয়ো নাড়া দিয়েছে সারা ভারতকে। প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা ওই ভাবে হাঁটার পর আচার্য রাহুল শর্মা নামের এক তরুণ পুরোহিত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভরত সোনি নামের এক অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের ছেলের গ্রেফতারির কথা শোনার পরেও ভরতের পক্ষেই দাঁড়াচ্ছেন তাঁর বাবা রাজু সোনি। দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিজের ছেলেকেই সমর্থন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। রাজুর কথায়, ধর্ষণের ঘটনার কথা টিভি-র মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন তিনি। ছেলের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন। অভিযুক্ত ভরত সোনিকে দেখে বোঝাই যায়নি যে, তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন। প্রত্যেকদিনের মতোই স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল তাঁকে, কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি।
পুলিশ তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে শুনে রাজু সোনি বলেন, ‘‘অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। ওই মেয়েটির জায়গায় যদি আমার সন্তান থাকত, আমিও একই দাবি করতাম। এই ধরনের অপরাধ যাঁরা করেন, তাঁদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। আমার সন্তান হোক বা অন্য কারোর…, এই কাজ করলে অবশ্যই ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত বা গুলি করে মেরে ফেলা উচিত।’’ কিন্তু, একথা বলার পরেও রাজু নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “আমি আমার ছেলের পাশেই দাঁড়াব। পুলিশ ওকে গ্রেফতার করেছে। সত্যিটা পরে প্রকাশ্যে আসবে। কিন্তু কারোর মনের ভিতরে কী চলছে, আমরা বাইরে থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।”