রাষ্ট্র সংঘের ভারতের সাফল্য  ২০২৩কে বাজরা বর্ষ ঘোষণা করার প্রস্তাব  প্রস্তাবে সায় দিল রাষ্ট্র সংঘ ভারত সম্মানিত বললেন নরেন্দ্র মোদী 

রাষ্ট্র সংঘ ভারতের প্রস্তাব গ্রহণ করে ২০২৩ সালটিতে আন্তর্জাতিক মিল্টস বর্ষ বা জোয়ার বজরা বর্ষ হিসেবে উদযাপন করার কথা ঘোষণা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে সেকথাই জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি। তিনি বলেনেছেন রাষ্ট্র সংঘের এই সিদ্ধান্তের ফলে ডাল জাতীয় শস্য ও জোয়ার বাজরা উৎপানে আরও বেশি সচেতনা বাড়বে। তিনি আরও বলেন এই বাজরা সহ ডাল জাতীয় খাদ্য শস্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময় কৃষিকাজে সম্পর্কেও সচেতনা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে রাষ্ট্র সংঘের এই সিদ্ধান্ত। 

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাষ্ট্র সংঘের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন এটি ভারতের কাছে খুবই সম্মানের। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র সংঘের এই সিদ্ধান্তের ফলে জোয়ার-বাজরা জাতীয় শস্যগুলি আরও জনপ্রিয় হবে। কারণ এজাতীয় খাবারগুলি পুষ্টিগুণে ভরপুর। তিনি আরও বলেছেন এই সিদ্ধান্তের ফলে খাদ্যের ওপর নিরাপত্তা যেমন বাড়বে তেমনই উপকৃত হবেন দেশের কৃষকরা। গবেষণার নতুন দিক খুলে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Scroll to load tweet…

'আন্তর্জাতিক মিল্ট ২০২৩' শিরোনামে এই প্রস্তাবটি ভারত, বাংলাদেশ কেনিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, রাশিয়া, সেনেগাল সূচনা করেছিল। ৭০ টিরও বেশি দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এই প্রস্তাবটি কার্যকর করতে। রাষ্ট্র সংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের সাধারণ সভায় এই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। 

বুধবার টিএস তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, প্রাচিনকাল থেকেই বাজরা চাষ হয়ে আসছে। এই চাষ ভারত ছাড়াও একাধিক দেশে হয়। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। উৎপাদনের দক্ষতা, গবেষণা ও উন্নয়ন বিনিয়োগ ও খাদ্যখাতে সংযোজনগুলি উন্নত কররা জন্য ভোক্ত, উৎপাদনকারী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কাছে বাজরার পুষ্টি ও পরিবেশগত সুবিধের উন্নয়ন জরুরি। তিনি বলেছিলেন প্রস্তাবের প্রাথমিক লক্ষ্যই বাজরার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যের উপকারিতার ওপর জোর দেওয়া। বাজরা সম্পর্কে সচেতন করতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান হয়েছে। সেদিনের বৈঠকে বাজরার তৈরি খাবার মুড়ুক্কুও বিতরণ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের সভায়।