সংক্ষিপ্ত

মাইক্রোসফটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নতুন নয়। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। এবার তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীরও সাক্ষাৎ হল।

মাইক্রোসফটের কর্ণধার ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ইলেকট্রনিকস ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলি নিয়ে গেটসের সঙ্গে চন্দ্রশেখরের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে তাঁর লেখা বই 'হাউ টু অ্যাভয়েড আ ক্লাইমেট ডিজাস্টার' উপহার দিয়েছেন গেটস। আর্থিক পরিষেবা, অর্থনীতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সফটঅ্যয়ারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবিলা নিয়েও কাজ করে গেটসের সংস্থা। সেই সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করছেন গেটস। করোনাভাইরাস অতিমারীর পর এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন গেটস। তাঁর সঙ্গে চন্দ্রশেখরের পরিচিতি বহুদিনের। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টেল সংস্থায় কাজ করতেন চন্দ্রশেখর। সেই সময়ই গেটসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ৩ দশক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন চন্দ্রশেখর। তিনি ১৯৮৬ সালে শিকাগোর ইলিনয়েস ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স সম্পূর্ণ করার পর প্রথম চাকরির প্রস্তাব পান মাইক্রোসফট থেকেই। ফলে গেটসের সঙ্গে চন্দ্রশেখরের সম্পর্ক বেশ পুরনো। এখনও তাঁদের সুসম্পর্ক বজায় আছে।

চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, ইন্টেল সংস্থায় কর্মরত থাকার সময় তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা হত গেটস, স্টিভ জোবস, ল্যারি ইলিসনের মতো প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথমসারির ব্যক্তিত্বদের। সেই সময় তাঁরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতেন। ইন্টেল সংস্থায় সিনিয়র ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন চন্দ্রশেখর। তিনি ৮০৪৮৬ ও পেন্টিয়াম মাইক্রোপ্রসেসরের সিপিইউ আর্কিটেক্ট হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর কাজ করার পর ভারতে ফিরে আসেন চন্দ্রশেখর। ১৯৯৪ সালে তিনি বিপিএল মোবাইল প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাই ছিল ভারতের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর।

গেটস বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম ২৫ সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ২৫ বছরের উন্নতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৩ বছর পরেও এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ দেশেই স্বাস্থ্যব্য়বস্থা পুরোপুরি ঠিক করা যায়নি। তবে ভারতে করোনা অতিমারী ভারতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবনে অনুঘটকের কাজ করেছে। ভারতে রেকর্ড পরিমাণে করোনার টিকা তৈরি হয়েছে এবং ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় নতুন বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে। এর ফলে সব দেশই লাভবান হতে চলেছে।’

আরও পড়ুন-

এশিয়ানেট নিউজের খবরের জের, গালওয়ানে শহিদ জওয়ানের পরিবারকে হেনস্থার ঘটনায় হস্তক্ষেপ রাজনাথ সিংয়ের

সমালোচকদের মুখের ওপর জবাব ভারতের, মোদীর বালি ঘোষণার সমালোচনার কড়া প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লির

Chandrayaan-3: ইসরোর বড় সাফল্য, চন্দ্রযান-৩-এর মূল ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা