সংক্ষিপ্ত
চিনের সাংহাই থেকে এরকমই একটি ড্রোন উড়েছে। এরপর সেটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে পৌঁছায়। জানা গিয়েছে এই ড্রোন পাকিস্তানে এর আগে ২৮ বার উড়ান নিয়েছে। এরপর ওই ড্রোনটি ভারতের সীমা পেরিয়ে ঢুকতে শুরু করলে বিএসএফ সেটিকে গুলি করে ভূপতিত করে।
সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান থেকে পাঞ্জাবে অস্ত্র ও মাদকের চালান বহনকারী 'ড্রোন'-এর রেকর্ড আবিষ্কার করেছে। যদিও বিএসএফ এর আগে পাঞ্জাব সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করায় যে ড্রোনগুলিকে গুলি করা হয়েছিল তার সংখ্যা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, তবে বেশিরভাগ ড্রোন চিনে তৈরি হয়েছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে তাদের প্রথমে পাকিস্তানে আনা হয়, তারপর ড্রোনের প্রযুক্তিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়। এরপর অস্ত্র, কার্তুজ ও মাদক দিয়ে ড্রোনটিকে পাঞ্জাব সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। চিনের সাংহাই থেকে এরকমই একটি ড্রোন উড়েছে। এরপর সেটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে পৌঁছায়। জানা গিয়েছে এই ড্রোন পাকিস্তানে এর আগে ২৮ বার উড়ান নিয়েছে। এরপর ওই ড্রোনটি ভারতের সীমা পেরিয়ে ঢুকতে শুরু করলে বিএসএফ সেটিকে গুলি করে ভূপতিত করে।
বিএসএফের প্রাক্তন ডিজি পঙ্কজ কুমার সিং অবসর নেওয়ার আগে বলেছিলেন যে পাকিস্তান থেকে আসা বেশিরভাগ ড্রোন চিনে তৈরি। পাকিস্তান ওই ড্রোনগুলোর প্রযুক্তিতে কিছু পরিবর্তন আনে। তবে সদ্য পাঠানো ড্রোনটির উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি থেকে ড্রোনটিকে সরিয়ে নেওয়া। অর্থাৎ ড্রোনটিতে ব্লিঙ্কিং সিস্টেম বন্ধ ছিল। পাঞ্জাব সীমান্তে, বিএসএফ তার জওয়ানদের ড্রোনের উপর নজর রাখার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে। বিএসএফ জওয়ানদের পাশাপাশি, মহিলা সেন্টিনেলরাও সীমান্তের ওপার থেকে আসা ড্রোনের উপর নজর রাখে। প্রথমে প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রোন নির্মূল করার চেষ্টা করা হয়। যখন সেই চেষ্টা সফল হয় না, তখন ড্রোনটিকে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য গুলি চালানো হয়। ড্রোন না পড়া পর্যন্ত গোলাগুলি চলতে থাকে। বিএসএফ-এর আঘাত এড়াতে বেশ কয়েকবার ড্রোনটি পাকিস্তানের দিকে ফিরে আসে।
বিএসএফ-এর মতে, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে অমৃতসর সেক্টরের রাজাতাল বিওপির কাছে পাকিস্তান থেকে একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন দেখা গিয়েছিল। সে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। ড্রোনটি পাকিস্তান সীমান্তে ফিরে আসার আগেই বিএসএফ তা গুলি করে ভূপতিত করে। বিএসএফের ফরেনসিক রিপোর্টে ওই ড্রোনের তদন্ত হয়েছে। জানা গেছে যে ড্রোনটি চীনের সাংহাইয়ের ফেং জিয়ান জেলা থেকে উড়ান শুরু করে। এরপর ড্রোনটি পাকিস্তানে পৌঁছে যায়। সেখানে সেই ড্রোন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ২৮টি ফ্লাইট করেছে। এই সব ফ্লাইট রেকর্ড করা হয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খেনিওয়াল এলাকায়। বিএসএফ-এর তদন্তে এই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে যে ভারতে অস্ত্র ও ওষুধ পাঠাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চীন।