সংক্ষিপ্ত
চন্দ্রযান-৩ ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান। জুন মাসে এটি চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) মিশন চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। ISRO সফলভাবে CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ফ্লাইট পরীক্ষা করেছে। এটি চন্দ্রযান-৩-এর লঞ্চ ভেহিক্যাল ক্রায়োজেনিক উপরের স্টেজকে শক্তিশালী করবে।
সন্তোষজনক ফলাফল
ISRO অনুসারে, পরীক্ষাটি ২৫ সেকেন্ডের পূর্ব-নির্ধারিত সময়ের জন্য পরিচালিত হয়েছিল। এটি ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরির ISRO প্রোপালশন কমপ্লেক্সের হাই অল্টিটিউড পরীক্ষা সুবিধায় করা হয়েছিল। ISRO একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে পরীক্ষার সময় সমস্ত প্যারামিটার মানা হয়েছে, তার সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেছে। ISRO জানিয়েছে যে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটিকে প্রোপেলান্ট ট্যাঙ্ক, স্টেজ স্ট্রাকচার এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লুইড লাইনের সাথে সংযুক্ত করা হবে যাতে একটি সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড ফ্লাইট ক্রায়োজেনিক স্টেজের আকার দেওয়া যায়।
চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে
এর আগে, এই বছরের শুরুতে, ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডার সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। মহাকাশের পরিবেশে স্যাটেলাইট সাবসিস্টেমগুলির কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য এই পরীক্ষাগুলি স্যাটেলাইট মিশনের সময় করা হয়। এর সাথে, স্যাটেলাইট সাবসিস্টেমের কাঙ্ক্ষিত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্তরের সাথে সামঞ্জস্যতাও এই পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। ইসরো তখন বলেছিল যে এই পরীক্ষা স্যাটেলাইট গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক।
মিশন চন্দ্রযান-৩ জুনে চালু করার পরিকল্পনা ছিল
চন্দ্রযান-৩ ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান। জুন মাসে এটি চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চন্দ্রযান-২-এর পর চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে।
জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছরের শুরুর দিকে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারটির তিরুপতির ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে সফলভাবে EMI/EMC পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময়ে ISRO জানিয়েছিল যে EMI/EMC (ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স/ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক কম্প্যাটিবিলিটি) মহাকাশের পরিবেশে স্যাটেলাইট সিস্টেমের কার্যকারিতা এবং প্রত্যাশিত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্তরের সাথে সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করার জন্য স্যাটেলাইট মিশনের পরীক্ষা করা হয়।
কেমন হবে চন্দ্রযান-৩?
এ বিষয়ে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, নতুন চন্দ্রযানে ল্যান্ডার, রোভার থাকবে। তবে অরবিটার থাকবে না। আগামী বছর চাঁদের মেরুতে অবতরণের উদ্দেশে তাকে পাঠানো হবে। চন্দ্রযান ২-তেও এই সবই ছিল। শুধুমাত্র সেখানে অরবিটার ছিল। বহু দিন আগেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল মানুষ। কিন্তু, চাঁদের দক্ষিণ মেরু আজও সবার কাছেই অজানা রয়ে গিয়েছে। সেখানে ঠিক কী রয়েছে তা খুঁজে বের করতেই ইসরোর তরফে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান ২। ইসরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই অভিযানের ফলে মানব সভ্যতার অনেক উপকার হবে।