সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মুখ ছিলেন কেশব মৌর্য। তাই তাঁর হার একটি উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা। অন্যদিকে সিথারু কেন্দ্র একটা সময় বহুজন সমাজপার্টির দূর্গ ছিল।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা (UP Elections 2022) নির্বাচনে ইন্দ্রপতন। সিথারু (sirathu) কেন্দ্র থেকে হেরে গেলেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য (deputy CM Keshav Maurya)। নিকটতম প্রতিদন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির জোট সঙ্গী আপনা দলের প্রার্থী পল্লবি প্যাটেলের কাছে প্রায় ৭ হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কেশব মৌর্য জানিয়েছেন তিনি জন তার রায় তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন।
রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মুখ ছিলেন কেশব মৌর্য। তাই তাঁর হার একটি উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা। অন্যদিকে সিথারু কেন্দ্র একটা সময় বহুজন সমাজপার্টির দূর্গ ছিল। কিন্ত এখন সেখানে মায়াবতীর অস্তিত্ত্ব প্রায় বিলীন। সেখানে বিএসপি তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এদিন কৌশাম্বি জেলার সিথারুর ভোট গণনা কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয়। কেশব মৌর্যের ছেলে যৌগেশ নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন গণনায় অসংগতি রয়েছে। তারপরই স্থগিত রাখা হয় গণনা। ২৯ রাউন্ড গণনার শেষে রাজ্যের মন্ত্রী আপনা দলের প্রার্থীর থেকে ৬ হাজারেরও বেশি আসনে পিছিয়ে ছিলেন। তারপরই মন্ত্রীর ছেলের অনুরোধে গণনা বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে ফের শুরু হয় গণনা। তাতেই হেরে যান রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী।
তবে উত্তর প্রদেশে এবারও বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই জয়ের জন্য রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নি বলেন বিজেপি কর্মীরা এই জয়ের মাধ্যমে দলকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে দলের সদর দফতরে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চার রাজ্য জয়ের জন্য বিজেপি কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ত্তর প্রদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন এই রাজ্যে দীর্ঘ তিরিশ বছর পর কোনও একটি দল পরপর দুবার ক্ষমতায় ফিরল। যার অর্থ উত্তর প্রদেশের মানুষ বিজেপির উন্নয়নের সঙ্গেই রয়েছে। এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িত ভোট ভাগাভাগি নিয়েও সরব হন তিনি।তাঁর কথায় যাঁরা এজাতীয় কথা বলে তারা উত্তর প্রদেশের মানুষকেই অপমান করে। তিনি আরও বলেন এই রাজ্যের বাসিন্দারা প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁরা উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আগামী দিনে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ের সামনে একমাত্র দাঁড়াতে পেরেছে সমাজবাদী পার্টি। এই দলই অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে ১০০এর বেশি াসন পেয়েছে। কংগ্রেসের অবস্থা বিপর্যস্ত।