- Home
- India News
- 'অকেজো' চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা! ভারতের তাণ্ডব দেখা ছাড়া কিস্যু করতে পারল না পাকিস্তান
'অকেজো' চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা! ভারতের তাণ্ডব দেখা ছাড়া কিস্যু করতে পারল না পাকিস্তান
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বেজিংয়ের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান। কিন্তু, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেগুলি যে আদৌ কোনও কাজের নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর আবার তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এয়ারস্ট্রাইকের রাতে ভারতের তাণ্ডব দেখা ছাড়া কিস্যু করতে পারল না পাকিস্তান।

ভারতের এক রাতের হামলায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি।
সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি ধ্বংস করতে ছোড়া হয় স্ক্যাল্প ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং হ্যামার।
সেগুলির মোকাবিলা করতে পারে এমন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিলই না পাকিস্তানের কাছে।
মূলত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পুরোপুরি বেজিংয়ের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান।
কিন্তু, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেগুলি যে আদৌ কোনও কাজের নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর আবার তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
এয়ারস্ট্রাইকের রাতে ভারতের তাণ্ডব দেখা ছাড়া কিস্যু করতে পারল না পাকিস্তান।
ভারতের মিসাইলগুলিকে চিহ্নিত করতে বা আটকাতে পারেনি ইসলামাবাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম)। ফলে পাক সেনার পাশাপাশি মুখ পুড়েছে চিনেরও।
ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলা আটকানোর জন্য পাক সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে ছ’টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি/এইচকিউ-৯বিই-র নাম। ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। বেজিং-এর এই হাতিয়ারেও রয়েছে এইএসএ রাডার এবং ১৪ ম্যাক গতির ক্ষেপণাস্ত্র।
মূলত লাহোর এবং রাজধানী ইসলামাবাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এইচকিউ-৯পি/এইচকিউ-৯বিই মোতায়েন রেখেছে পাক ফৌজ। মাঝ-আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র বা লড়াকু জেট ধ্বংস করাই তাদের উদ্দেশ্য।
এ ছাড়া ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে ড্রাগনের এলওয়াই-৮০/এলওয়াই-৮০ই নামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর ভরসা রেখেছেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, ৪০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সুরক্ষা দিতে পারে এলওয়াই-৮০/এলওয়াই-৮০ই। এর ভিতরে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ ২.৫ ম্যাক।
এ ছাড়া স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা ঠেকাতে চিনের থেকে এফএম-৯০ নামের একটি বিশেষ ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনে ইসলামাবাদ। হাতিয়ারটি ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম বলে দাবি করে ড্রাগন।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন এগুলির কোনওটাই কাজ করেনি।
স্ক্যাল্প ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিতকরণ এবং ধ্বংসের জন্য রাখা এফএম-৯০ বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটিও পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় ড্রাগনের অত্যাধুনিক হাতিয়ারের কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
২০২২ সালের ৯ মার্চ ভুলবশত ভারত থেকে ছোড়া একটি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের ভিতরে ১২০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে লাহৌর সংলগ্ন মিয়া চন্নু এলাকায় আছড়ে পড়ে।
ওই সময়েও সেটিকে চিহ্নিত করতে পারেনি ইসলামাবাদের চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
২০১৯ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে ‘এয়ার স্ট্রাইক’ করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এতে ফ্রান্সের তৈরি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিল।
২০১৯ সালে বালাকোটে বিমানহানার সময়েও কোনও ভারতীয় লড়াকু জেটকে আটকাতে পারেনি পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালকে ময়দানে নামায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।

