পেহেলগাঁও সন্ত্রাস হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন সিঁন্দুর' চালিয়ে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে এই অভিযানের নাম 'অপারেশন সিঁন্দুর' রাখা হয়েছে, যার অর্থ ভারতীয় মহিলাদের সিঁথির সিঁন্দুরের প্রতিশোধ।
পেহেলগাঁও সন্ত্রাস হত্যার পর অপারেশন সিঁন্দুরে ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে ভারতীয় মহিলাদের সিঁন্দুরের প্রতিশোধ নিয়েছে তাতে বেজায় খুশি ভারতবাসী। তার থেকেও 'অপারেশন সিঁন্দুর'- এই নাম ভারতবাসীর মন ছুয়ে গেছে। সিঁন্দুরের প্রতিশোধ নেওয়া হলেও, গল্প এখনও অনেক বাকি। এক কথায়, এটুকুই বলা যেতে পারে পাকিস্তানে এবার নিজের পায়ে নিজে কুড়োল মারেনি, উল্টে কুড়ুলের উপর পা চালিয়েছেI এর ফল ইসলামাবাদ কে ভুগতেই হবেI
সূত্রের খবর অনুসারে, অপারেশন সিঁন্দুরের নামটি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী সেনাবাহিনীকে প্রস্তাব করেছিলেন। এর অর্থ জঙ্গীরা আবারও যদি কোনও ভারতীয় মহিলার সিঁথির সিঁন্দুর উজার করে, তবে সে চিরতরে এই পৃথিবী থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এবার পাকিস্তান যদি ভাবে অপারেশন সিঁন্দুরের বদলা নেবে তবে সেটা পাকিস্তানের আরও বড় ভুল হবে কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই এ কথা স্পষ্ট জানিয়েছে ‘অপারেশন সিঁন্দুর শুধু ট্রেইলার ছিল, গোটা সিনেমাটাই এখনও বাকি’-
ভারতীয় সেনাবাহিনীর কথার অর্থ স্পষ্ট যে পাকিস্তান যদি এর পরেও আবারও একটুও বেচাল করে তবে তার ধ্বংস নিশ্চিত। গত ২৫ বছর ধরে এক নাগাড়ে যুদ্ধনীতিকে উলঙ্ঘন করে পাকিস্তান তার মদতপুষ্ট জঙ্গিদের দিয়ে যেভাবে ভারতের বুক ক্ষত-বিক্ষত করেছে। এবার আর থেমে থাকবে না ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তান সহ্যের সীমা উলঙ্ঘন করেছে ২০০৮ সালের ২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাস হামলা, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে, এবার তারও হিসেব মেটাতে হবে পাকিস্তানকে।
সীমান্তের অদূরেই কোটলির গোলপুর ক্যাম্প্প এটা ছিল লস্কর-এ তাইবার বেস ক্যাম্প্প, অপারেশন সিঁন্দুরের জেরে এই ক্যাম্প্পটি ধ্বংস হয়েছে। আর সেনাবাহিনী এই ক্যাম্প্পটি ধ্বংস করতে ড্রোন ব্যবহার করেছিল। এখানে থাকা জঙ্গীরা সবাই নিহত। অপারেশন সিঁন্দুর এক বছর আগে কাশ্মীর কে যে ক্ষতবিক্ষত করেছিল পাকিস্তান, তারও প্রতিশোধ নিল সেনাবাহিনী। ২০ জুন ২০২৪ লস্করের জঙ্গিরা রিয়াসিতে পূর্ণার্থীদের একটি বাসে আক্রমণ করে, যাতে ৯ জন নিহত হয়।
২০১৩ সাল কুড়ি এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিরা ওখানেই প্রশিক্ষিত হয়েছিল। সীমান্তের অদূরেই শিয়ালকোটের মাহমুনা জয়া ক্যাম্প্প এটাই ছিল হাজিবুল মহাদিজিন-এর জঙ্গি শিবির,সবচেয়ে বড় বিষয় হল সালাউদ্দিনের সন্ত্রাস বা জঙ্গি তৈরীর এই কারখানার উপর অপারেশন সিঁন্দুরের মাধ্যমে আঘাত হানে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, কাটুয়ায় জঙ্গি ছড়ানোর মূল কেন্দ্র ছিল এই শিবির। এর পরের লক্ষ্য মুজাফফরপুরাবাদ এর সাওয়াই নালা ক্যাম্প আর এই ক্যাম্পেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল পেহেলগাঁও হামলার আর এই ক্যাম্পটিও ভারতীয় সেনাবাহিনী মাটিতে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
২০০৪ সালের কুড়ি অক্টোবর সোনমার্গ আক্রমণ ২৪ অক্টোবর গুলমার্গ আক্রমণের জঙ্গিদেরও এখানেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এই সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটিতে আরও এমন অনেক জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যারা ভবিষ্যতে ভারতে বার বার আক্রমণ করত আর ক্ষতবিক্ষত করতে ভারতকে এই সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটিকে চোখের পলকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তান এমন একটা দেশ যারা শুধু জঙ্গিদের মদত দেয় না জঙ্গি উৎপাদনের একটা কারখানাও বলা যেতে পারে। লস্করের সবচেয়ে কুখ্যাত জঙ্গি শিবির পাকিস্তানে। আর এটা প্রমাণিত। দাবি করা হয় যে হাফেজের সবচেয়ে বিপদজনক জঙ্গিরা পাকিস্তানি প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। আর অপারেশন সিঁন্দুরে সেই সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
পেহেলগাঁও হামলার সময় এক জঙ্গি এক মহিলাকে বলেছিল, "যা মোদীকে গিয়ে বল", তো পাকিস্তান মোদীর জবাব কেমন লাগলো? ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালে এবার চোখ উপরে নেবে ভারতীয় সেনা বাহিনী। ২৫ বছর ধরে টানা সহ্য করেছে ভারত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত গঙ্গা বইয়েছে জঙ্গিরা> বাপ রাগলে একটুতো ব্যাথা লাগবেই অবাধ্য সন্তানদের। তাই এবার ভালোয় ভালোয় শুধরে যাও, কারণ বাপ মারতে শুরু করলে 'কপালে অনেক দুঃখ আছে'।