সংক্ষিপ্ত
শপিং-এর আনন্দের পরেই যে আবেগ সম্পূর্ণ বদলে যাবে এবং তার জন্য শেষ পর্যন্ত যে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি উত্তরপ্রদেশের মেরঠে বসবাসকারী অশোক।
স্বামীর মঙ্গলকামনায় করওয়া চৌথের ব্রত, সেই ব্রত পালনের জন্যই গাঁটখরচ করিয়ে জমিয়ে শপিং করেছিলেন স্ত্রী, কিন্তু শপিং-এর আনন্দের পরেই যে আবেগ সম্পূর্ণ বদলে যাবে এবং তার জন্য শেষ পর্যন্ত যে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি উত্তরপ্রদেশের মেরঠে বসবাসকারী অশোক।
-
ঘটনাটি ঘটেছে মেরঠের জানি এলাকায়। ২০১৯ সালে এখানেই অশোকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রিয়া নামের এক যুবতীর। বিয়ের পর এই দম্পতি বেশ সুখী মনেই সংসার করছিলেন, তাঁদের একটি ছেলেও হয়েছিল, বর্তমানে যার বয়স মাত্র ১৮ মাস।
-
কিন্তু, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, করওয়া চৌথের আগে অশোক সটান পৌঁছে যান মেরঠে এসপির অফিসে। থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্ত্রী প্রিয়া নিজের দেওর রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। অশোক পেশায় একজন শ্রমিক। তাঁর দাবি, তিনি কাজ থেকে ফিরে আসার পরেই জানতে পেরেছেন যে, তাঁর স্ত্রী অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, রাহুল তাঁদের বাড়িতে এসে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
-
অশোক পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে কারওয়া চৌথের কেনাকাটা করতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, তাঁর স্ত্রী ১৫ হাজার টাকার গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
-
সম্পূর্ণ অভিযোগ লিখিত আকারে দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত স্বামী। মেরাঠের এসপি কমলেশ বাহাদুর নিশ্চিত করেছেন যে, একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং এই মামলার তদন্ত শুরু হয়ে গেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।