সংক্ষিপ্ত
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি পাড়ায় আদপেই খুব কম দেখা যেত পীযূষকে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও খুব কম বলতেন তিনি। ব্যবহার করতে একটা ভাঙাচোরা পুরনো স্কুটার। এমনকী সচরাচর কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতেও যেতেন না তিনি।
উত্তরপ্রদেশের সুগন্ধী ব্যবসায়ী(Fragrance Traders of Uttar Pradesh) পীযূষ জৈনের গ্রেফতারি(arrest of Piyush Jain) নিয়ে কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। সোমবারই তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে(judicial custody) পাঠানো হয়েছে। এই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওয়া বিপুল সম্পত্তির বহর দেখে হতবাক আধিকারিক থেকে প্রতিবেশীরা। এদিকে উত্তরপ্রদেশের সুগন্ধি নগরী(Fragrant city of Uttar Pradesh) বলতেই কনৌজের নাম উঠে আসে সবার আগে। এই গ্রামেই নিজেদের ব্যবসা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তুলেছিল জৈন পরিবার। কিন্তু প্রসার যে একেবারে ১৯৭ কোটি টাকা(197 crore) নগদ, ২৩ কিলো সোনা উদ্ধারে গিয়ে থমকাবে একথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি কেউ।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি পাড়ায় আদপেই খুব কম দেখা যেত পীযূষকে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও খুব কম বলতেন তিনি। ব্যবহার করতে একটা ভাঙাচোরা পুরনো স্কুটার। এমনকী সচরাচর কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতেও যেতেন না তিনি। তবে কোনও বিয়েবাড়িতে গেলে একটা চটি, পাজামা আর ফতুয়াই ছিল তাঁর একমাত্র পোশাক। সহজ কথায় যাকে বলে একেবারে সাদামাটা চালচলন। তবে তার হাবভাব দেখে সন্দেহ যে ছিল না স্থানীয়দের এমনটা নয়। এদিকে পীযূষের মূলত চারটি বাড়ি। মূল বাড়িটি চিপাইতি গ্রামে। বাকি তিনটি কনৌজোর বিভিন্ন প্রান্তে। তবে স্থানীয়দের সবথেকে বেশি কৌতূহল চিপাইতির বাড়িটি নিয়ে। বাড়িটি তৈরি আদপে বিশেষ কায়দায়। ৭০০ বর্গ গজের উপর তৈরি বাড়িটির চারপাশে উঁচু মোটা দেওয়াল তোলা রয়েছে। বাড়িটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে আশপাশের বাড়ি থেকে হাজার চেষ্টা করেও ভিতরের কিছু দেখা যেত না। আর তাতেই সন্দেহ বাড়ত স্থানীয়দের। ভিতরে কী চলছে, কারা আসছে তা টের পেত না কেউই। এদিকে বাড়ির সামনে সর্বদাই দু-একটা গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ডিজিজিআই অফিসাররা কনৌজে ব্যবসায়ীর বাড়ির প্রাঙ্গণ থেকে ৫০০টি চাবি খুঁজে পেয়েছেন। পাশাপাশি ৬০০ কিলো চন্দন কাঠ এবং নগদ টাকা ছাড়াও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে পীযূষের বাড়ি থেকে। এখনও পর্যন্ত, জিএসটি-র আধিকারিকদের(GST official) অভিযানে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ বের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে পীযূষ জৈনের সঙ্গে আবার অখিলেশ যাদব শিবিরের ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে একাধিক সূত্র থেকে। কেউ আবার বলছেন টাকা জোগান দিত আদপে বিজেপিই। তবে আসল রহস্যের জাল কতদূর বির্স্তৃত তা জানতে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।