উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বন্যা: বদলে গিয়েছে নদীর গতিপথই! ইসরোর ছবিতে আতঙ্কের চিত্র
উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যায় ভবন ধসে পড়েছে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। ইসরোর উপগ্রহ চিত্রগুলি বন্যার ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরেছে।

উত্তরাখণ্ড মেঘভাঙা
গত ৫ই আগস্ট ধারালি ও হারসিল গ্রামে আকস্মিক বন্যায় বহু ভবন ধসে পড়েছে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, প্রায় ২০ হেক্টর জুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে।
উত্তরাখণ্ড মেঘভাঙা
ইসরোর একটি শাখা, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (NRSC), কার্টোস্যাট-২এস উপগ্রহের ছবি ব্যবহার করে এই ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। জুন মাসের ছবির সাথে বন্যার পর বৃহস্পতিবার তোলা ছবির তুলনা করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। খীর গড় ও ভাগীরথী নদীর সঙ্গমস্থলে প্রায় ৭৫০ মিটার বাই ৪৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
Satellite Insights Aiding Rescue & Relief Ops
ISRO/NRSC used Cartosat-2S data to assess the devastating Aug 5 flash flood in Dharali & Harsil, Uttarakhand.
High-res imagery reveals submerged buildings, debris spread (~20ha), & altered river paths, vital for rescue teams on… ছবি দেখুন— ISRO (@isro) আগস্ট ৭, ২০২৫
নদীর গতিপথ পরিবর্তন
বন্যার কারণে নদীর প্রস্থ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে বলে ইসরো জানিয়েছে। এগুলি আকস্মিক বন্যার সাধারণ লক্ষণ। ধারালির বহু ভবন বন্যায় ভেসে গেছে বা মাটিচাপা পড়েছে বলেও ইসরো নিশ্চিত করেছে। বন্যার কারণ অনুসন্ধানে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ চলছে এবং এটি হিমালয় অঞ্চলে বসবাসের ঝুঁকি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় বলে ইসরো উল্লেখ করেছে।
हिमनद का मलबा गिरना
ধারালি গ্রামে মঙ্গলবারের বিপর্যয় শুধুমাত্র ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটেনি। প্রাথমিক ভূতাত্ত্বিক মূল্যায়ন অনুসারে, এর পেছনে রয়েছে আরও জটিল ও শক্তিশালী কারণ — পাহাড়ের চূড়া থেকে হিমবাহের ধ্বংসাবশেষের পতন।
উপগ্রহের তথ্য এবং স্থল জরিপের উপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুসারে, প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন ঘনমিটার হিমবাহের ধ্বংসাবশেষ পতিত হয়েছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি ১.৪ লক্ষেরও বেশি অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান পরিমাণ কাদা, পাথর এবং হিমবাহের ধ্বংসাবশেষ। এগুলি প্রচণ্ড বেগে গ্রামের উপর আছড়ে পড়ে।
হিমবাহের ধ্বংসাবশেষ
এই ধ্বংসযজ্ঞের সূত্রপাত হয়েছে অস্থির হিমবাহের ধ্বংসাবশেষ এবং ভূমিধ্বসের মাধ্যমে। এটি খীর গড় নদীর স্রোত ধরে ধারালি গ্রামে প্রবেশ করে। সরকারী তথ্য অনুসারে, এই আঘাতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ২০ টিরও বেশি ভবন ধসে পড়ে এবং কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়।
ভুটানের পুনাখাংচু-১ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান ইমরান খান এই উপগ্রহ চিত্রগুলি পরীক্ষা করে বলেছেন, "এটি কোনও সাধারণ মেঘভাঙা নয়।" "এই ঘটনায়, প্রায় ৭ কিমি দূরে ৬,৭০০ মিটার উচ্চতা থেকে হিমবাহের বিশাল ধ্বংসাবশেষ পতিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত এর সূত্রপাত হতে পারে — তবে এই বিপর্যয় ঘটার অপেক্ষায় ছিল," তিনি ব্যাখ্যা করেন।
