সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি বলেছেন, দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়োগ শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে হয় না। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ও তাদের মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ওপর নির্ভর করে।
মেধা আর উচ্চপদে নির্বাচন নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের সহউপাচার্য ও প্রাক্তন সহউপাচার্যরা একটি খোলা চিঠিও পাঠিয়েছে। সেখানে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে মারাত্মক হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যঃ
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি বলেছেন, দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়োগ শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে হয় না। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ও তাদের মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ওপর নির্ভর করে। রাহুল গান্ধীর আক্রমণের নিশানায় ছিল মূল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য ও প্রাক্তন উপাচার্যদের নিশানা করা। পাশাপাশি দেশের শীর্ষপদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয় না বলেও দাবি করেছেন তিনি। রাহুল বলেছিলেন ,'কে মেধা নির্বাচন করে? দলিতরা ব্যর্থ হয় কারণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উচ্চবর্ণ দ্বারা সেট করা হয়। সিস্টেম এই ভাবে সেট করা হয়. যদি দলিতদের শীর্ষে রাখা হয়, তবে সমস্ত উচ্চ শ্রেণী ব্যর্থ হবে, এবং দলিত পাস করবে।' কথা প্রসঙ্গে তিনি আমেরিকার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। দেখুন সেই ভি়ডিও।
যাইহোক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে ক্ষতিকারক বলেও চিহ্নিত করেছেন। অনেকে রাহুল গান্ধীকে সন্ত্রাসবাদীর থেকেও ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের অভিযোগ রাহুল গান্ধী এজাতীয় মন্তব্য করে দেশের মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধুমাত্র হিন্দুদেরকে বিভক্ত করছেন এমনটা নয়, তিনি মুসলিম ও দলিতদেরকেও বিভক্ত করছেন।
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮১ জন ভাইস চ্যান্সেলর সহ প্রাক্তন ভিসি রাহুল গান্ধীরক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁরা লিখেছেন দেশের ৮০ শতদাংশের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে কোনও সংগঠন নেই। যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। তাঁরা নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।