India-Pakistan Conflict: সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌবাহিনীও সক্রিয় হয়েছে। এবার উস্কানি দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি হুমকি দিল নৌবাহিনী।

Indian Navy Warned Pakistan: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একযোগে তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনী। তবে এতদিন নৌসেনার পক্ষ থেকে সরাসরি পাকিস্তানকে হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে এবার সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন ডিরেক্টর জেনারেল নাভাল অপারেশনস (Director General Naval Operations) ভাইস অ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ (Vice Admiral AN Pramod)। তিনি জানিয়েছেন, 'অপারেশন সিঁদুর'-এর সময় তৈরি ছিল নৌবাহিনী। পাকিস্তান উস্কানি দিলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। ভাইস অ্যাডমিরাল প্রমোদ জানিয়েছেন, 'ওরা যদি উত্তেজনা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে, তাহলে কী হতে চলেছে ওরা জানে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে সমুদ্রপথে এবং ভূমিতে আঘাত হানতে তৈরি নৌবাহিনী। এমনকী, করাচি বন্দরেও আঘাত হানতে তৈরি নৌবাহিনী।

আরব সাগরে শক্তির পরিচয় দিচ্ছে নৌবাহিনী

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নৌবাহিনী যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা পরিমিত, দায়িত্ববান, সমানুপাতিক এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় এমন নয়। তবে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার পর ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপস, সারফেস কমব্যাটান্টস, সাবমেরিন ও মেরিটাইম এয়ার অ্যাসেটস নিয়ে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়ে যায় নৌবাহিনী। ভাইস অ্যাডমিরাল প্রমোদ জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর সব বিভাগ আরব সাগরে একাধিক অস্ত্রপরীক্ষা করেছে। নৌবাহিনীর দক্ষতা কতটা, তার প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। ভারতের নৌবাহিনীর শক্তি প্রমাণের ফলে পাকিস্তানের নৌবাহিনী কার্যত বন্দরেই আটকে থাকতে বাধ্য হয়। ভাইস অ্যাডমিরালের কথায়, ‘ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের জলসীমার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা রক্ষণাত্মক হয়ে যেতে বাধ্য হয়। ওরা বন্দরের মধ্যে বা সমুদ্রতটের খুব কাছে থাকতে বাধ্য হয়। আমরা বারবার সে কথাই বলে যাচ্ছি।’

Scroll to load tweet…

একসঙ্গে কাজ করছে ভারতীয় সেনার ৩ বিভাগ

ভাইস অ্যাডমিরাল প্রমোদ আরও বলেছেন, ‘নৌবাহিনী যে শক্তির পরিচয় দিয়েছে, তা সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার তিন বিভাগ একসঙ্গে যে কাজ করেছে, তার ফলেই পাকিস্তান সংঘর্ষ-বিরতির আর্জি জানাতে বাধ্য হয়েছে।’

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।