বিহারের এক স্কুলে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে ভোজপুরি গানে মত্ত হয়ে নাচলেন এক প্রধান শিক্ষক। নাচের মধ্যেই পড়ুয়াদের লাথি মারার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সামনে আসছে একের পর এক অবাক করা কাণ্ড। অধ্যাপিকা ও ছাত্রের নাটকীয় বিয়ের কথা কারও অজানা নয়। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক শিক্ষকের কাহিনি। সরস্বতী পুজোয় মত্ত হয়ে ভোজপুরি গানে নাচলেন তিনি। এতটাই মত্ত ছিলেন যে পড়ুয়াদের লাথি মারেন। প্রধানশিক্ষকের এমন আচরণ নজর কেড়েছে সকলের। হৈচৈ পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গিধৌর ব্লকের সেবা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সরকারি স্কুলে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মত্ত অবস্থায় নাচছেন প্রধানশিক্ষক। বাজছে ভোজপুরি গান। সেই গানে কোমর দোলাচ্ছেন তিনি। কখনও কোমরে বাঁধা গামছা নাড়িয়ে নাচ দেখাচ্ছেন। আবার কখনও পড়ুয়াদের পিছনে দৌড়ে নাচ দেখাচ্ছেন। এক অদ্ভুত নাচ।

ভাইরাল হওযা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দেবী প্রতিমা সামনে বাজছে গান। সেখানে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে উপস্থিত প্রধান শিক্ষক। তার পরনে সাদা পায়জামা ও সাদা গেঞ্জি। কোমরে বাঁধা হলুদ রঙের ওড়না।

একের পর এক গান বেজে যাচ্ছে। তাতে উদ্দাম নৃত্য করছেন শিক্ষক। এমনকী, নাচে এতটাই মত্ত যে লাথিও দেখাচ্ছেন ছাত্রদের দিকে।

এদিকে আভার হরিণঘাটা কাণ্ডের কথা সকলের জানা। ২৯ জানুয়ারি পায়ের বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক অধ্যাপিকার সঙ্গে ছাক্রের ক্লাসরুমের ভিতর বিয়ে, সিঁদুর দানের ভিডিও ভাইরাল হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউটের ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয়। এই ঘটনায় ইস্তফা দেন শিক্ষিকা।

Scroll to load tweet…

ভিডিও ভাইরাল হতেই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অধ্যাপিকা জানান যদিও ঘটনাটি ছিল নাটকের একটি মহড়া। তিনি বলেন, যে বা যাঁরা ভিডিওটি ছড়িয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য একেবারেই সৎ ছিল না। তিনি বলেছিলেন ভিডিওতে আরও অনেক কিছু ছিল। সব বাদ দিয়ে শুধু এই টুকু ভাইরাল করা হয়।

এরই মাঝে ভাইরাল হল আরও এক শিক্ষকের কাণ্ড। বিহারের এই ভিডিও মুহূর্তে নজর কাড়ল সকলের।