সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘদিন থেকে একটু একটু করে অর্থ সঞ্চয় করেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন ছোট্ট মুদির দোকানের মালিক। তার এই স্বপ্নপূরণের গল্পই ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
 

সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই বর্তমানে চোখে পড়ে একাধিক অনুপ্রেরণমূলক গল্প। রোজই শোনা যায় কত মানুষের লড়াইয়ের গল্প, কত মানুষেপ স্বপ্ন পূরণের গল্প। এবার অসমের(Assam) একজন ব্যক্তির একটি স্কুটার কেনার একটি আকর্ষণীয় গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ঘুরছে। এক বস্তা কয়েন নিয়ে বাইকের শোরুমে পৌঁছেছিলেন ওই ব্যক্তি। যা দিয়েই নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে একটু একটু করে অর্থ সঞ্চয় করেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন ছোট্ট মুদির দোকানের মালিক। তার এই স্বপ্নপূরণের গল্পই ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আসলে, ইউটিউবার হীরক জে দাস এই গল্পটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যার সূত্র ধরে, পেশায় দোকানদার ওই ব্যক্তির খোঁজ মেলে। নিজের স্বপ্নের স্কুটার কেনার জন্য তিনি কয়েক মাস ধরে পিগি ব্যাংকে কয়েন সংগ্রহ করছিলেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি স্কুটার কেনার টাকা জোগাড় হলে শোরুমে পৌঁছান তিনি। তবে স্কুটার কিনতে ওই ব্যক্তি যেভাবে শোরুমে পৌঁছেছিলেন তা ছিল খুবই আকর্ষণীয়। আসলে তিনি তার জমানো টাকা ভর্তি কয়েনের বস্তা নিয়ে শোরুমে পৌঁছেছিলেন।যা সাড়া ফেলেছে নেট দুনিয়ায়।

আরও পড়ুন- তীব্র হচ্ছে ইউক্রেন সঙ্কট, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড়সড় আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পথে আমেরিকা
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি শোরুমে পৌঁছানো মাত্রই সেখানে উপস্থিত লোকজন অবাক হয়ে যায়। অনেককে কয়েন ভর্তি তার ভারী ব্যাগ তুলতেও দেখা যায়। শোরুমের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ এসব কয়েন গুনতে থাকে। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ১,২ এবং ১০ টাকার বেশিরভাগ কয়েন নিয়েই শোরুমে পৌঁছেছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ সময় ধরে শোরুমের কর্মীদের টাকা গোনার পালা সাঙ্গ হলে সমস্ত কাগজপত্র সই পর্ব শেষ করে মালিকের হাতে স্কুটারের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনাটিরই একটি ভিডিও ইউটিউবে শেয়ারও করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- বাবা-ছেলেরা মিলেই চলছে নাচ, হাসিমুখে বাপি লাহিড়ীকে স্মরণ ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুনের
এমনকী ফেসুবকেও ঘুরছে এই গল্প। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইউটিউবার হীরক জে দাস ফেসবুকে ক্যাপশনে লেখেন, “আজ একজন ব্যক্তি সুজুকি ডিলারের কাছে তার সঞ্চয় (খুচরা টাকা) দিয়ে একটি স্কুটার কিনেছেন। এর থেকে একটা কথা আমরা শিখতে পারি যে, একটা স্বপ্ন পূরণ করতে অনেক টাকা লাগলেও অনেক সময় অল্প কিছু টাকা দিয়ে সেটা পূরণ করা যায়।” তাঁর এই ভিডিওটি দেদার শেয়ারও হয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। 

আরও পড়ুন- মা কে নিয়েই কলকাতার রেস্তোরাঁয় লিয়েন্ডার পেজ, দেখা গেল বান্ধবী কিমকেও