সংক্ষিপ্ত
বিরোধিতার মধ্যেও যৌথ সংসদীয় কমিটিতে সবুজ সংকেত। অনুমোদন পেল ওয়াকফ বিল । তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও বিলটি ১৪টি সংশোধনীসহ অনুমোদন পেয়েছে।গত বছরের আগস্ট মাসে সংসদে পেশ হওয়া ওয়াকফ বিল শেষ পর্যন্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) মাধ্যমে পাশ হয়ে গেল। এই বিল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তাড়াহুড়ো করে বিল পাশ করিয়ে সরকার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক লাভ তুলতে চাইছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে ওয়াকফ বিলের যে খসড়া আদালতে পেশ করা হয়েছিল, তার থেকে ১৪টি বদল এনে এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল বলেন, মোট ৪৪টি সংশোধনী জমা পড়েছিল। বিরোধীদের সংশোধনীর পক্ষে ১০টি ভোট পড়েছিল। এবং ১৬টি ভোট বিপক্ষে পড়েছিল। তাই সেগুলি গ্রহণ করা হয়নি। তবে ১৪টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়েছে। এই নিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল জানিয়েছেন, ১৪টি সংশোধনী নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংসদে জমা দেওয়া হবে। ওয়াকফ বিল নিয়ে বিরোধী দলের সাংসদরা যে সংশোধনী দাবিগুলো করেছিলেন তা যৌথ সংসদীয় কমিটি একেবারে খারিজ করে দিয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির নিশিকান্ত দুবের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হতেই সরগরম হয় গোটা পরিবেশ। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রিপোর্ট প্রস্তুত করতে চাইছেন।দিল্লি নির্বাচনের কথা ভেবেই বিজেপি ওয়াকফ বিল নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে। এর আগে কমিটির বৈঠকে বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।এরই জেরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ মোট ১০ সাংসদকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।ওয়াকফ বিলের সংশোধনী নিয়ে বিরোধীরা বলছেন, এমন কাজকর্ম করা হচ্ছে, যা সংসদীয় সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তারপর ৮ অগস্ট সেই বিলটি পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। ওয়াকফ সম্পত্তি সামলানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে ওই বিলের মাধ্যমে।