সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার আগে, রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু বলেন যে মালদ্বীপ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে, তবে এটা নিশ্চিত যে তাদের কোনও পদক্ষেপ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষতি করবে না।

ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তবে উভয় দেশই এখন সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে এবং দিল্লিকে একটি 'গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং বন্ধু' হিসাবে দেখছে এই দেশ। একরই সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা 'অগ্রাধিকার পাবে' বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সফরে এসেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। এটি তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। রবিবার নয়াদিল্লিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন যে মালদ্বীপ এমন কিছু করবে না যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।

আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার আগে, রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু চিনের সঙ্গে মালদ্বীপের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন যে মালদ্বীপ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে, তবে এটা নিশ্চিত যে তাদের কোনও পদক্ষেপ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষতি করবে না।

শক্তিশালী এবং কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখবে

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত মালদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ও বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে। মালদ্বীপ ভারতের সাথে শক্তিশালী ও কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে। 'মালদ্বীপ ফার্স্ট' নীতির অধীনে, তার দেশ ভারতের সাথে দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশ্বস্ত সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেবে।

তিনি বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী যে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থকে দুর্বল করবে না। মালদ্বীপ ভারতের সাথে শক্তিশালী ও কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখবে।

আমরা একে অপরের উদ্বেগ আরও ভালভাবে বুঝতে পারি

তিনি আরও বলেছিলেন যে মালদ্বীপ এবং ভারত এখন একে অপরের উদ্বেগগুলি আরও ভালভাবে বোঝে এবং দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সর্বদা অগ্রাধিকার পাবে। তবে, তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা ফেরত পাঠানোর কারণ উল্লেখ করে বলেছেন যে এটি জনগণের দাবি ছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।