সংক্ষিপ্ত

  • ভারত সরকারের অভিযোগ অস্বীকার করল ফেসবুক  
  • ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখা প্রধান কাজ বলে মন্তব্য ফেসবুকের
  • নজরদারি বুঝতে পেরেই ফেসবুক উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল
  • মে মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারির কথা জানানো হয়েছিল  ভারত সরকারকে

ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাস স্পাইওয়ার ব্যবহার করে ভারতের বাসিন্দাদের হোয়াটস অ্যাপের ওপর নজর রেখেছিল। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বিশ্বজুড়ে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের ঢেউ উঠেছে ভারতে। ঘটনায় বিতর্ককে আরও খানিকটা উসকে দিয়ে  সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে যে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে, তা আগেই ভারত সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। নজরদারি প্রতিরোধ করার বিষয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছিল। 

বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের আগে থেকে হোয়াটসঅ্যাপে এই নজরদারির কথা জানায়নি। তবে ভারত সরকারের অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে ফেসবুক জানায়, মে মাসেই ভারত সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।  শুক্রবার কহোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমাদের সব সময়  ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখার বিষয় প্রধান্য পায়। তাই নজরদারির খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। যে সব দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি চলেছিল, সেই সমস্ত দেশের প্রশাসনকেও আমরা জানিয়েছিলাম। 

মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক ইজরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও এর বিরুদ্ধে  একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। ফেসবুকের তরফে একটি অভিযোগে জানানো হয়েছে, ২০টি দেশের প্রায় ১,৪০০ হোয়াটস ব্যবহারীর মেসেজের ওপর আড়ি পেতেছে ইজরায়েলের একটি সংস্থা। মূলত সাংবাদিক, কূটনীতিক, মানবাধিকার কর্মী ও প্রবীণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের হোয়াটস অ্যাপের ওপর আড়ি পাতা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।