সংক্ষিপ্ত
খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে যে আগস্ট মাসে ই-নিলাম গমের ওজনযুক্ত গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ২২৫৪.৭১ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এই দাম কমেছে এবং ২০ সেপ্টেম্বর এটি প্রতি কুইন্টাল ২,১৬৩.৪৭ টাকায় নেমে এসেছে।
গম এবং ময়দার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার খোলা বাজারে বিক্রয় প্রকল্প শুরু করেছিল। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারের এই পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি খাদ্য ও পানীয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রেশনের দামকে সরাসরি প্রভাবিত করবে। ওপেন মার্কেট সেল স্কিমের (OMSS) অধীনে ১৩টি ই-নিলামে সরকার ১৮.০৯ লক্ষ টন গম বিক্রি করেছে। বড় আকারে বিক্রি গম ও আটার দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে। ১৮.০৯ লক্ষ টন গম ই-নিলামের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। গম ছাড়াও চালও প্রকাশ্যে বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে যে আগস্ট মাসে ই-নিলাম গমের ওজনযুক্ত গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ২২৫৪.৭১ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এই দাম কমেছে এবং ২০ সেপ্টেম্বর এটি প্রতি কুইন্টাল ২,১৬৩.৪৭ টাকায় নেমে এসেছে। মন্ত্রক বলছে, এ পদ্ধতিতে গম বিক্রির কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের পকেটে তেমন প্রভাব পড়েনি। এ ছাড়া গমের দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রকের মতে, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩টি ই-নিলাম পরিচালিত হয়েছিল যাতে এই প্রকল্পের অধীনে ১৮.০৯ লক্ষ টন গম বিক্রি হয়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে ৪৮০টিরও বেশি ডিপো থেকে প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়া সাপ্তাহিক নিলামে দুই লাখ টন গম দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের লোকসভা এবং এই বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতির দিক থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ।
পরিকল্পনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্টক রয়েছে
খাদ্য মন্ত্রক তার বিবৃতিতে দাবি করেছে যে ওএমএসএস নীতির সফল বাস্তবায়নের ফলে ইউক্রেন সংকট ও বর্ষা সমস্যা সত্ত্বেও দেশীয় বাজারে গমের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়াও, খাদ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে যে ২০২৩-২৪ বছরের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং এই প্রকল্পটি আরও কার্যকর করা হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী গমের দাম বাড়লেও ভারতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।