করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট ভারত সরকার এদেশে সংক্রমণ ছড়ালেও তা ব্যাপক আকার নেয়নি এখনও ভারত সরকারের তৎপরতায় মুগ্ধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মোদীর মন্ত্রকের প্রশংসায় হু-এর কর্তা

বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে মারণ কোভিড-১৯ ভাইরাস। করোনা সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ৭০০০ বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পৃথিবীজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছুঁতে চলেছে। যা পরিস্থিতি তাতে বিশ্বের মানব সভ্যতা করোনার আক্রমণে একেবারে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। ভারতেও প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সেই হার অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'।

Scroll to load tweet…

চিনের উহান থেকে বিশ্বের দরবারে ছড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস। যার আক্রমণে কাত প্রথম বিশ্বের দেশগুলি। চিনের পর করোনায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ইতালির। ইউরোপের এই দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২৮ হাজারের বেশি। কেবল ইতালি নয়, ক্রমেই পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করছে ফ্রান্স, স্পেন, ব্রিটেন, জার্মানি সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে। এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মধ্যপ্রাচ্যের ইরানের অবস্থা ভয়াবহ। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারেনি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কানাডার প্রতিটি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। সেই তুলনায় বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতের অবস্থাটা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'।

আরও পড়ুন: চিনে জমা পড়ছে গুচ্ছ গুচ্ছ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন, কাঠগড়ায় সেই করোনা ভাইরাস

অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর হার অনেকটাই কম। আর এজন্য প্রথম থেকেই ভারত সরকারে সচেতন ভাবে নেওয়া ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এদেশে হু-এর প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম। বেকেডামের কথায় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রক এবিষেয় অসম্ভব ভাল কাজ করেছে। যেভাবে সকলে একত্রিত হয়ে এই সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালান হচ্ছে তা দেখে মুগ্ধ স্বয়ং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

করোনা নিয়ে প্রথম থেকেই সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। দেশে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সে কারণে সচেতনতা বাড়াতে এবছর হোলির উৎসবে অংশ নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য প্রতিটি বিমানবন্দরে অনেক আগে থেকেই স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভিসা প্রদান। সংক্রমণ যাতে মারাত্মক আকার না নেয় তারজন্য দেশের স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। সচেতনতার অংশ হিসাবে বন্ধ রয়েছে জিম, সিনেমা হল, স্পা, সুইমিং পুল। যেভাবে ভারতের প্রশাসন করোনাকে রুখতে পদক্ষেপ করছে তা দৃষ্টান্তমূলক বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

আরও পড়ুন: করোনা ছড়িয়েছেন শি জিনপিং, চিনা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের মোদীর দেশে

কেবল ভারত নয় সার্কভুক্ত দেশগুলির প্রতিটি নাগরিক যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেবিষয়েও পদক্ষেপ নিয়েছেন এদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্স করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনায়কদের কাছে। শুধু তাই নয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে ভারত সরকার। সংবাদমাধ্যেম প্রচার করা হচ্ছে করোনা মোকাবিলার উপায়। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন স্বয়ং হু-এর প্রতিনিধিও। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গোটা ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Scroll to load tweet…