সংক্ষিপ্ত
- অসমে ২০১৬ সালে সরকার গড়েছিল বিজেপি
- কংগ্রেসের টানা শাসনকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি
- ২০২১-এ কি টানা দ্বিতীয়বার সরকার তৈরি করতে পারবে বিজেপি
- কী বলছে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হতেই শুরু হয়ে গেল বুথ ফেরত সমীক্ষা। আর এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে টানা দ্বিতীয়বার অসমে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গী। কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীদের দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা।
ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখিয়েছে বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গী মিলে অসম বিধানসভা নির্বাচনে ৭৫ থেকে ৮৫টি আসন পেতে চলেছে। কংগ্রেস এবং তাদের জোটয়সঙ্গীদের সমন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে ৪৫ থেকে ৫০টি আসন নিয়ে। অন্যান্যদের দখলে যেতে পারে ১ থেকে ৪টি আসন।
কে হতে পারেন অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্নে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা জানিয়েছে, ২০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তারা হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে পছন্দ করছেন। বর্তমানে যিনি মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন সেই সর্বানন্দ সোনোওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চেয়েছেন ১৯ শতাংশ মানুষ। ১৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন কংগ্রেস থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হন, সেটাই তাঁরা চাইছেন।
অসমের ভোট শেয়ারিং-এর নিয়েও একটা ধারনা দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা। এতে দেখানো হয়েছে, বিজেপি মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের ১০ শতাংশ সমর্থন পেতে পারে। ৬৪ শতাংশ অসমিয়ার ভোটে পেয়ে থাকতে পারে বিজেপি। ৬৯ শতাংশ বাঙালি ভোটদাতা বিজেপি-কে ভোট দিয়ে থাকতে পারেন বলেও জানিয়েছেন ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা। চা বাগান-এর শ্রমিকদের ১০ শতাংশ সমর্থন বিজেপি-র দিকে থাকতে পারে বলেও এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।
কংগ্রেস মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের ৭৫ শতাংশ সমর্থন পেয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা। ২৪ শতাংশ অসমিয়া ভোটদাতা কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে থাকতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। ২৩ বাঙালির সমর্থন কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে যেতে পারে বলেও এই বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকদের ৩৩ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের দিকে যেতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ভোট শেয়ারিং-এর প্রজেকশন এই বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি পেতে পারে ৪৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। কংগ্রেসের ভাগে যেতে পারে ৪০ শতাংশ ভোট। যা ২০১৬ বিধানসবা নির্বাচনের তুলনায় ৯ শতাংশ কম। অন্যান্যদের দখলে যেতে পারে ১২ শতাংশ ভোট।