স্বাধীনতার আগে যখন ইংরেজদের সরকার ছিল, সেই সময় ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এবং অন্যান্যরা অন্যান্য দিন কাজ করে রবিবারে গির্জায় যেতেন। অন্যদিকে, শ্রমিকদের সপ্তাহের সাতটি দিন মিলে কাজ করতে হত।
রবিবার অর্থাৎ মজা করার দিন, শিশুদের জন্য আনন্দের দিন এবং চাকরিজীবীদের জন্য ছুটি বা বিশ্রামের দিন। সপ্তাহের মধ্যে এই একটা দিন সবারই পছন্দের।
কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন কেন রবিবারেই ছুটি হয়? সারা বিশ্বে অধিকাংশ মানুষের জন্য সপ্তাহের ছুটির দিন রবিবারই হয়। এছাড়াও স্কুল, কলেজ এবং সরকারি দপ্তরগুলিতেও রবিবারে ছুটি হয়, কিন্তু কেন রবিবারে ছুটি? পড়ুন 'রবিবারের ছুটির' সম্পূর্ণ কাহিনী।
আপনার তথ্যের জন্য জানিয়ে রাখা ভাল যে, ভারতীয় সরকার এই ছুটি দেওয়ার পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির নামের উপর ডাকটিকিট জারি করে তাদের সম্মান করেছে।
বহু বছর ধরে চলেছিল দীর্ঘ সংগ্রাম। ভারতে রবিবারের ছুটির পিছনে রয়েছে বিরাট এক সংগ্রামের গল্প। রবিবার ছুটি পাওয়ার জন্য রয়েছে ইংরেজদের অবদান।
রবিবার ছুটির প্রস্তাবমিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাধীনতার আগে যখন ইংরেজদের সরকার ছিল, সেই সময় ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এবং অন্যান্যরা অন্যান্য দিন কাজ করে রবিবারে গির্জায় যেতেন। অন্যদিকে, শ্রমিকদের সপ্তাহের সাতটি দিন মিলে কাজ করতে হত। দেখা যায় যে, তাদের এক দিনেরও ছুটি দেওয়া হত না। শ্রমিকদের এই দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করেন সেই সময়ের শ্রমিক নেতা নারায়ণ মেঘজি লোখণ্ডে, যার পরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে রবিবার ছুটির প্রস্তাব রাখেন।
রবিবার ছুটির দিনমজদুর নেতা নরায়ণ মেঘাজী লোখন্ডে বলেছেন, সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করার পর ১ দিন সকলের ছুটি পাওয়া উচিত। প্রথমে এই বিষয়টি নিয়ে ইংরেজ সরকারের সম্মতি ছিল, কিন্তু নেতা নরায়ণ মেঘাজী লোখান্ডের দীর্ঘ সংগ্রামের পর শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারকে তাঁর দাবি মেনে নিতে হয়, যার পর ব্রিটিশ সরকার ১০ জুন ১৮৯০, অবশেষে রবিবারকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে।

