সংক্ষিপ্ত
নববর্ষের রাতে দিল্লি ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।স্কুটি নিয়ে ফেরার পথে এক মহিলাকে সুলতানপুরী এলাকা থেকে গাড়িতে করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে দিল্লির কানঝাওয়ালা এলাকায়।
নববর্ষের রাতে দিল্লি ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পয়লা জানুয়ারির দিন রাতে এক মহিলা স্কুটি করে ফিরছিলেন বাড়িতে। বাড়ি ফেরার পথেই দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় তার স্কুটিকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি ব্যালেনো গাড়ি। এরপর ওই মহিলাকে গাড়ির সঙ্গেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে দিল্লির কানঝাওয়ালা এলাকায়। সেখান থেকেই তার নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামেন দিল্লির প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার স্বাতী মালিওয়াল।এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
রবিবার ভোরে স্কুটিসহ ওই মহিলাকে ধাক্কা দেয় গাড়িটি । সূত্রের খবর ওই গাড়িতে উপস্থিত ৫ জনই সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ওই মহিলাকে ধাক্কা মারার পর তারা ভয়ে আর গাড়ি থামাননি। এবং ওই মহিলার পোশাক গাড়ির সঙ্গে আটকে যাওয়ায় চলন্ত গাড়ির সঙ্গে তাকেও অতিক্রম করতে হয় বেশ কয়েক কিলোমিটার। এইভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ই গাড়ির তলায় থাকা ওই মহিলার মৃত্যু ঘটে। এক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তিনি জানান কুতুবগড়ের দিকে একটি গাড়ি যাচ্ছে যার সামনে একটি লাশ ঝুলছে। ওই প্রত্যক্ষদর্শী গাড়ির নম্বরটিও জানান পুলিশকে।এছাড়া একটি পিসিআর কলেও পুলিশকে জানানো হয় যে রাস্তার মাঝখানে একটি লাশ পরে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। লাশটিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এরপর প্রথম প্রত্যক্ষদর্শীর দেওয়া নিবন্ধিত ওই গাড়ির নম্বর ট্রেস করেই সনাক্ত করা হয় অপরাধীদের। বর্তমানে ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা এখন পুলিশি হেফাজতে।
ওই পাঁচ অভিযুক্তকে ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়ায় তারা দিল্লির ডিসিপি আউটার হরেন্দ্র কে সিংকে জানান যে তারা বুঝতে পারেননি যে তাদের গাড়িটি ওই স্কুটারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। জানলে তারা ওই অবস্থায় লাশটি নিয়ে কয়েক কিলোমিটার অতিক্রম করতো না। তবে পুলিশের বিশ্বাস তারা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছেন। আসল ঘটনা চাপা দিতেই এমন গল্পকথা ফেঁদেছেন তারা।তবে ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা সে নিয়ে জল্পনা উঠলেও সেই দাবি খারিজ করে দেন ডিসিপি হরেন্দ্র কে সিং।