সংক্ষিপ্ত
এই ফটো বা ভিডিও-র মধ্যে সেই ‘জড়িয়ে ধরা’-র ছবিও জমা দিতে বলা হয়েছে, যে জড়িয়ে ধরা-কে FIR অভিযোগপত্রে লাল কালিতে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ তথা দেশের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন ভারতের শীর্ষ কুস্তিগীররা। তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার এবং তাঁর শাস্তির দাবি তুলে নয়াদিল্লিতে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন অজুহাতে ব্রিজ ভূষণ মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে, এঁদের মধ্যে একজন নাবালিকা কুস্তিগিরও ছিলেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। এবার, কুস্তিগিরদের অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ বিভাগ।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সাথে দফায় দফায় বৈঠক এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর অবশেষে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রথমে কুস্তিগিরদের অভিযোগ একেবারে হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া হলেও পরে বিজেপি সাংসদের উত্তর প্রদেশের বাড়িতে গিয়ে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু তারপর অপর পক্ষ, অর্থাৎ, কুস্তিগিরদের কাছ থেকে তাঁদের অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ এবার ছবি, ভিডিও এবং অডিও দাবি করে বসল দিল্লি পুলিশ। ২ জন কুস্তিগিরের কাছ থেকে এই প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।
দুই শীর্ষ মহিলা কুস্তিগীর অভিযোগ করেছিলেন যে, নিঃশ্বাস- প্রশ্বাস পরীক্ষা করার অজুহাতে ব্রিজ ভূষণ তাঁদের স্তন স্পর্শ করেছিলেন এবং পেটে হাত দিয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিদেশি টুর্নামেন্টের পর ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বাংলো ২১ নম্বর অশোকা রোডের কুস্তি ফেডারেশনের অফিসে এই হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি করেছিলেন কুস্তিগীররা। একজন অভিযোগকারী এও জানিয়েছেন যে, একটি বিদেশি টুর্নামেন্টে মেডেল জয়ের পর ব্রিজ ভূষণ তাঁকে প্রায় ১০-১৫ সেকেন্ড ধরে শক্ত করে ‘জড়িয়ে’ ধরে ছিলেন এবং এতে ওই কুস্তিগির এটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, তাঁর স্তনে পর্যন্ত হাত দিয়ে দেওয়া হতে পারে, এর ফলে তাঁকে নিজের হাতদুটো অতক্ষণ ধরে বুকের কাছে তুলে রাখতে হয়েছিল। এই ঘটনার ছবি চেয়েছে পুলিশ।
একজন কুস্তিগীর জানিয়েছেন, ব্রিজ ভূষণ সিং তাঁর স্তন এবং পেটে স্পর্শ করেছিলেন ২০১৬ সালে একটি বিদেশী টুর্নামেন্টের সময়। তারপরেও সভাপতি তাঁকে নয়াদিল্লির অশোকা রোডের WFI অফিসে ডেকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগকারীদের কথিত ঘটনার তারিখ, সময়, তাঁরা WFI অফিসে কতক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন, তাঁদের রুমমেট কারা কারা ছিলেন, এবং অন্যান্য সম্ভাব্য সাক্ষীদের নাম, বিশেষ করে যখন তাঁরা বিদেশে ছিলেন, তখন তাঁদের আশেপাশের সাক্ষীদের নাম জমা দিতে বলেছে। পুলিশের পক্ষ ঠেকে সেই হোটেলের বিশদও চেয়ে পাঠানো হয়েছে যেখান থেকে একজন কুস্তিগীর WFI অফিসে গিয়েছিলেন। একজন কুস্তিগীর এবং তার আত্মীয় জানিয়েছিলেন যে, অভিযোগ দায়ের করার পরে তাঁরা অনেকগুলি হুমকি কল আর মেসেজ পেয়েছিলেন, সেই কলগুলির বিশদ বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে। হুমকিমূলক কল সম্পর্কিত ভিডিও/ ফটোগ্রাফ/ কল রেকর্ডিং অথবা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের জন্য জিজ্ঞাসা করে ওই আত্মীয়কে একটি আলাদা নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
‘আপনি সারা দেশের গর্ব’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে চিঠি লিখলেন কলেজ-ছাত্রী
জুন মাসে কোন শহরে ঊর্ধ্বমুখী হল জ্বালানির দাম? দেখে নিন রবিবারের পেট্রোল-দর
Weather News: আবহাওয়ায় আপাতত স্বস্তি! বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস