সংক্ষিপ্ত

২০১৯ সালে সাদগুরু একটি মোটরসাইকেল ব়্যালির উদ্বোধন করেছিলেন। যার উদ্দেশ্য ছিল সচেতনতা তৈরি করা। কাবেরী নদীকে পুনরুজ্জীবিত করা। কৃষকদের বৃক্ষভিত্তিক চাষে উৎসাহিত করা । 

রীতিমত রেকর্ড করেছে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) ও কর্নাটকের (Karnataka) কৃষকরা। ইসা ফাউন্ডেশনের (Isha Fundation) উদ্যোগে এই দুই রাজ্যের কৃষকরা 'কাবেরি কলিং' (Cauvery Calling)এর কর্মসূচি গ্রহণ করে দুই বছরে প্রায় ২.১ কোটি চারাগাছ রোপন করেছিলেন। তেমনই জানিয়েছেন ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠানা সদস্য ও ধর্মগুরু সদগুরু (Sadhguru)।  ইসা ফাইন্ডেশন একটি আধ্যাত্মিক সংগঠন। এটি শুরু করেছিলেন সদগুরু জগ্গি বাসুদেশ। ক্যানবেরি কলিং-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কাবেরী নদীকে পুনরুজ্জীবিত করা । পাশাপাশি দুই রাজ্যের এক লক্ষ ২৫ হাজার কৃষককে কৃষিকাজে উৎসহ দেওয়া। 

২০১৯ সালে সাদগুরু একটি মোটরসাইকেল ব়্যালির উদ্বোধন করেছিলেন। যার উদ্দেশ্য ছিল সচেতনতা তৈরি করা। কাবেরী নদীকে পুনরুজ্জীবিত করা। কৃষকদের বৃক্ষভিত্তিক চাষে উৎসাহিত করা । 

সদগুরুর এই প্রকল্পের মূল কেন্দ্র ছিল দুই রাজ্যের কাবেরী নদী অববাহিকা এলাকায় গ্রামের কৃষকদের কৃষিকাজ সম্পর্কে আরও সচেতনতা তৈরি করা। গাছ লাগানো, সেখান থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক লাভ পাওয়ার ব্যবস্থা করা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন কাবেরি কলিং-এর স্বেচ্ছাসেবীরা ঘুরে ঘুরে তাদের জমি পরিদর্শন করেছেন। মাটির গুণাগুণ সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত তথ্য দেয়। পাশাপাশি বৃক্ষভিত্তিক চাষের সুবিধের কথাও প্রচার করে। সেই কারণেই বৃক্ষভিত্তিক চাষের প্রতি স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ ক্রমশই বেড়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিুয়েছেন উপযুক্তি চারা লাগানোর আগে সেচ সুবিধে, মাটির সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলয়। যা তাদের চাষের কাজে সুবিধে করে দিয়েছিল। কাবেরী কলিং-এর অংশ হিসেবে একটি অবক্ষয়িত জমির পরিবর্তন করে যে সেটিকে আবার আবাদী জমিতে পরিণত করা যায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি জল আন্দোলনের একটি অংশ হতে পারে। 

Beating The Retreat Ceremony: বিজয় চকের আকাশে রঙের খেলা, ১০ মিনিটে হাজার Drone-show

'কেন্দ্রীয় সরকার কথা রাখেনি', প্রতিবাদে রাজ্যেও 'বিশ্বাসঘাতকতা দিবস'র ডাক আন্দোলনকারী কৃষকদের

'কেন্দ্রীয় সরকার কথা রাখেনি', প্রতিবাদে রাজ্যেও 'বিশ্বাসঘাতকতা দিবস'র ডাক আন্দোলনকারী কৃষকদের
গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে তালিমলাড়ুর প্রায় ৬৫০টি কৃষি জমিতে চারা রোপনের আয়োজন করা হয়েছে।  ইশা ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা তামিলমারন বলেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৬.২ কোটি চারা রোপন করা হয়েছে। কাবেরী কলিং-এর মাধ্যমে ইশা ফাউন্ডেশন পরিবেশ আন্দোলন তৈরি করতে চাইছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।