দুই সাংবাদিককে মারধর করল তালিবানরা। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরাও। এখনও পর্যন্ত তালিবান জমানায় ৫ সাংবাদিক গ্রেফতার আফগানিস্তানে। 


কাবুল দখলের পর তালিবানরা বলেছিল তারা রক্তপাত চায় না। কিন্তু আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের আগে থেকেই তালিবানদের ভয়ঙ্কর ছবিটা সামনে আসছে। তবে ক্ষমতা দখলের পর দিনে দিনে তা আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সম্প্রতি সামনে এসেছে দুই সাংবাদিকদের ওপর তালিবানদের নির্মম আচরণ। 

দুই সাংবাদিক জানিয়েছেন, তাঁরা কাবুলে তালিবানদের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিক্ষোভের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। একই সঙ্গে বিক্ষোভে কিছু ছবিও তুলেছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফটোগ্রাফার নেমাতুল্লাহ নাকদি বলেছেন একজন তালিবান তাঁকে আটক করে। তাঁর মাথায় পা তুলে দিয়ে কংক্রিটের সঙ্গে তাঁকে ঠেসে ধরেছিল। তিনি ভেবে ছিলেন তালিবানরা তাঁকে মেরেই ফেলবে। যদিও তার আগেই তাঁর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন তালিবানরা তাঁকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। বলেছিল সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি ছবি তুলছেন। 

Scroll to load tweet…

নাকদি ও তাঁর সহকর্মী রিপোর্ট তাকি দারিয়াবি- দুজনেই ইতিলাত রোজ নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কাজ করেন। কাজ আর শিক্ষার অধিকারের দাবিতে কাবুলে যে মহিলা বিক্ষোভ চলছিল তারই খবর সংগ্রহ করছিলেন। তালিবানরা বিক্ষোভের খবর সম্প্রচার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমে তা জায়গা করে নিয়েছিল। 

Scroll to load tweet…

নাকদি জানিয়েছেন ছবি তোলা শুরু করার পরেই তাঁকে বাধা দেয় তালিবানরা। ক্যামেরাটিও ছিনিয়ে নিয়ে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে তাঁকে আর তাঁর সঙ্গীকে মারধর করে তালিবানরা। তারপর দুজনকেই নিয়ে নিয়ে যাওযার হয়েছিল একটি থানা। কিছুক্ষণ সেখানে আটকে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তালিবানরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, তিনি আর তাঁর সঙ্গী ভাগ্যবান যে তালিবানরা তাদের শিরোচ্ছেদ করেনি। 

আফগানিস্তানে চলছে ভয়ঙ্কর তালিবানি রাজ, বই পুড়িয়ে মদের বোতল ভেঙে তাণ্ডব

প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার আগে মেনে চলুন এই ১০টি নিয়ম, তাহলে কিছুতেই খালি হাতে ফিরতে হবে না

টোলো নিউজের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বুধবার পাঁচ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে। এক সংবাদপত্রের মালিক জানিয়েছেন, তালিবানরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতা দখলের পর তার কোনওটাই মানছে না। সরকার ভাষণ আর তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তালিবানরা কোনও মন্তব্য করেনি। 

দেশ ছেড়ে পালানোর আগের রাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রীকে ঠিক কী বলেছিলেন আশরাফ ঘানি, এদিন তিনি ক্ষমা চেয়েছেন

তালিবানরা প্রথমে জানিয়েছিল শারিয়া আইন মেনে মহিলাদের স্বাধীনতা দেওয়া হবে। কাজও করতে পারবে তারা। কিন্তু এখন মহিলাদের শিক্ষার পাসাপাশি কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সিরাজুদ্দিন হাক্কানির স্বরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে কোনও আন্দোলনের নামা আগে অনুমতি নিতে হবে। নাহলে চরম শাস্তির মুখোমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। 

YouTube video player