সংক্ষিপ্ত

রবিবার তালিবানরা কাবুল দখলের পর থেকেই বেপাত্তা আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। দেশ থেকে পালানোর আগে গাড়ি আর হেলিকপ্টারে টাকা বোঝাইয় করে নিয়ে গেছেন। 
 

তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নিয়েই প্রথমে  গিয়েছিল প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে। সূত্র মারফর পাওয়া খবরে জানা জানা গিয়েছিল আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা করছে তারা। কিন্তু তারপর থেকে ঘানিরা আর কোনও খবর নেই। সম্পূর্ণ রূপে বেপাত্তা ঘানি। অন্যদিকে কাবুলে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে আশরাফ ঘানি গাড়িতে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আর হেলিকপ্টার ভর্তি করে টাকা নিয়ে গেছেন। তবে সব টাকা নাকি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেননি আফগান প্রেসিডেন্ট। কিছু টাকা এখনও পড়ে রয়েছে সে দেশে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘানি কোথায় রয়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। একটি সূত্র বলছে তাজাখস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন ঘানি। 

তালিবানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে চিন, দিল্লিকে চাপে রাখতেই কি বেজিং-এর আফগান বন্ধুত্ব

কাবুলে রাশিয়ার রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র নিকিতা ইশচেঙ্কো জানিয়েছেন, ঘানি যেভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন  তা যথেষ্ট বিড়ম্বনার। নিকিতা আরও জানিয়েছেন, ঘানি চারটি গাড়ি বোঝাই করে টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। তার সঞ্চিত অর্থের একটি অংশ হেলিকপ্টারে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সব সম্পদ সেখানে নেওয়া যায়নি। সেগুলি দেশে ফেলে রেখেই যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে আফগানিস্তানের রাশিয়ার প্রতিনিধিনি জমির কাবুলভ জানিয়েছেন এখনও স্পষ্ট নয় আফগান প্রেসিডেন্ট সরকারের কত টাকা সঙ্গে নিয়ে গেছেন আর কত টাকা দেশে রেখে গেছেন। তবে পুরো টাকা নিয়ে পারেননি বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। 

'শক্তিশালী ভারত গঠনে উদ্যোগী', অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে

তালিবানরা কাবুল দখলের পরই রবিবার কোনও একটি সময় দেশ ছাড়েন আশরাফ ঘানি। কোনও রকম সংঘর্ষ ছাড়াই তালিবানরা গতকাল কাবুল দখল করে নেয়। যদিও তার আগে আফগানিস্তানের একাধিক বড় শহরগুলির দখল নিয়েছিল তারা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই গোটা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তারা।

Afghanistan: তালিবান শাসনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তাক্ত কাবুল, দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া আফগানবাসী

অন্যদিকে রাশিয়া আফগানিস্তানের তালিবানদের  সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে। তবে এখনই তালিবান শাসকদের স্বীকৃতি দেবে না বলেও জানিয়েছে। তবে গোটা ঘটার ওপর রাশিয়া নজর রাখতে বলেও জানান হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে রুশ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হলেও কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাস খোলা রয়েছে। 

YouTube video player