সংক্ষিপ্ত
পঞ্জশির থেকে তালিবান বিরোধী প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমরুল্লা সালে। বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে পাকিস্তান ও তালিবানদের সতর্ক করলেন তিনি।
তালিবান এবং প্রতিবেশী পাকিস্তান - দুই পক্ষকেই সমানভাবে সতর্ক করলেন, নিজেকে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি বলে ঘোষণা করা আমরুল্লাহ সালে। বৃহস্পতিবার, তিনি এক টুইটে বলেছেন, আফগানিস্তান তালিবানদের শাসন করার জন্য বা পাকিস্তানের গ্রাস করার পক্ষে অনেক বড় দেশ। একই সঙ্গে, তালিবানদের উৎখাৎ করার স্বপ্ন দেখানো এই নেতা বিশ্বের অনান্য দেশকে তালিবানি হিংসার সামনে মাথা নত না করে আইনের শাসনকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সালে বর্তমানে রয়েছেন, আগানিস্তানের একমাত্র তালিবানি নিয়ন্ত্রণেকর বাইরে থাকা পঞ্জশির প্রদেশে। সেখান থেকেই নিয়মিত টুইট করে দেশবাসীকে জাগানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এদিনের টুইটে তিনি বলেন, 'অন্যান্য দেশের উচিত আইনের শাসনকে সম্মান করা, হিংসাকে নয়। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের গ্রাস করার পক্ষে পারে এবং তালেবদের শাসনের জন্য, অনেক বড়। আপনাদের ইতিহাসে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর কাছে অপদস্থ হওয়ার এবং মাথা নত করার একটি অধ্যায় থাকতে দেবেন না'।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরুল্লা সালেকে আফগানিস্তানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি। কিন্তু, গত রবিবার, ১৫ অগাস্ট, তালিবানরা কাবুল দখল করার মুখে পদত্যাগ করে প্রেসিডেন্ট ঘানি পালিয়ে যান। গত মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট সালে টুইট করে ঘোষণা করেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী ঘানি ইস্তফা দেওয়ার পর তিনিই এখন দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি। এই বিষয়ে সমর্থন ও ঐক্যমত নিশ্চিত করার জন্য তিনি সব আফগান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তার আগেই অবশ্য তিনি আরও এক টুইটে সাফ জানিয়েছিলেন, তালিবানদের কাছে তিনি মাথা নোয়াবেন না এবং লড়াই চালিয়ে যাবেন।
২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের পর আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই, অতি দ্রুত প্রায় গোটা দেশটিই দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। ৩১ অগাস্টের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি বলেছেন, তাদের নাগরিকদের এবং আফগান মিত্রদের সকলকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখের পরেও মার্কিন সৈন্যরা কাবুলে থেকে যেতে পারে। তবে, তাদের উপর আর নির্ভর করতে চাইছেন না, একসময় সিআইএ-র এক নম্বর আফগান চর আমরুল্লা সালে।
চলতি সপ্তাহেই একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, তাঁর দেশকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আর তর্ক করে লাভ নেই। এই সিদ্ধান্তের প্রতিঘাত এখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতি হজম করে উঠতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন, আফগানদেরই প্রমাণ করতে হবে, যে আফগান যুদ্ধ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ছিল না এবং তালিবরাও দূরদূরান্ত পর্যন্ত ভিয়েতকংয়ের মতো নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো লড়াইয়ের মেজাজ হারিয়ে ফেললেও, আফগানরা তা হারায়নি। তালিবান প্রতিরোধে বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামনে বিশাল সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে।