হারিয়ে গিয়েছে পিতৃপুরুষের অস্তিত্ব, আফ্রিকার জনজাতি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে 'ভূত রহস্য'

আফ্রিকার এক জনজাতিকে নিয়ে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। কোথা থেকে এসেছেন তাঁরা তা কিছুতেই বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। কারণ রহস্যময় ভাবে হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের পূর্বপুরুষের অস্বিত্ব।  তাঁদের নিয়েই এখন মহা ফাঁপরে বিশ্বের বিজ্ঞানীকূল।

আফ্রিকার এই জনজাতির শরীরে পাওয়া ডিএনএ কোথা থেকে এসেছে, তা ঘিরে রহস্য ক্রমেই জমাট হচ্ছে। যা নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা পশ্চিম আফ্রিকা। উঠে আসছে এক অবলুপ্ত হওয়া অস্বিত্বের কথা। আর এই অবস্থায় অনেকেই ভূত তত্ত্ব সামনে আনছেন। 

পূর্ব আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছে এমন এক জনজাতির অস্তিত্ব যাঁদের হাজার হাজার বছর আগে পূর্ব প্রজন্মের কোনও হদিশ মিলছে না। এই মানুষদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। গোটা এলাকার জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ। এই জাতি থোকা থেকে এসেছে তা কিছুতেই মেলাতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। তাই উঠে আসছে 'ঘোস্ট পপুলেশন' এর তত্ত্ব।

গবেষণা বলছে আদ থেকে প্রায় ৪৩ হাজার বছর আগে আফ্রিকার এক জাতির সঙ্গে এক রহস্যময় জাতির প্রতিনিধিদরে সঙ্গমে তৈরি হয়েছিল নতুন জাতি। কিন্তু সেই রহস্যময় জাতি নিয়েই কোনও তথ্য পাচ্ছেন না গবেষকরা। 

জেনেটিক গবেষণা বলছে, নিয়েনদারথল ও ডেনিসোভানদের থেকে আফ্রিকার বাইরে ইউরোশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্ম হয়েছে। নিয়েনদারথল ও ডেনিসোভানদের ফসিলও মিলেছে। কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়া ও বেনিনের ইয়োরুবা জনগোষ্ঠী ও মেন্ডে জনগোষ্ঠীর মানুষদের শরীরে এমনকিছু ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে যার আগে অস্বিত্ব পাননি বিজ্ঞানীরা। এই বিষয়ে আরও গেবষণা এগোরেল মানুষের ইতিহাসের প্রাথমিক তত্ত্ব বদলে যাওয়ারও সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না গবেষকরা।

প্রাচীন মানুষের এই রহস্যময় জনগোষ্ঠী প্রায় পাঁচ লক্ষ বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকায় বসবাস করত।  গবেষকরা মনে করছেন তাদের অস্তিত্ব সম্ভবত ৬,৫০,০০ বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে এই অবলুপ্তির কারণই এখনও স্পষ্ট নয় গেবষকদের কাছে।