সংক্ষিপ্ত
নতুন ধরনের কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র- সামনের সারির দূরপাল্লাপ আর্টিলারি ইউনিটের ফায়ারপাওয়ারকে ব্যাপকভাবে উন্নত করতে ও কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনায় দক্ষতা বাড়াতে এটি অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। আপাতত তিনি যে এজাতীয় পরীক্ষ বন্ধ করবেন না তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন। কিম জং উন নতুন একটি অস্ত্র সিস্টেমের পরীক্ষা চালিয়েছেন। সূত্রের খবর উত্তর কোরিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, কৌশলগত মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রের দক্ষতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। রবিবার ভোরে এই নতুন অস্ত্র সিস্টেম পরীক্ষার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা প্রতিবেশ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা।
নতুন ধরনের কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র- সামনের সারির দূরপাল্লাপ আর্টিলারি ইউনিটের ফায়ারপাওয়ারকে ব্যাপকভাবে উন্নত করতে ও কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনায় দক্ষতা বাড়াতে এটি অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কোরিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে পরীক্ষাটি সফল হয়েছে। কিন্তু এই পরীক্ষা কখন ও কোথায় হয়েছে তা জানায়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিম সামরিক গবেষণা দলকে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা দিয়েছেন। তারপরই নতুন এই অস্ত্র সিস্টেমের পরীক্ষা করা হয়েছে।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা কিম জং উনের দাদু কিম ইল-সুংএর জন্মদিন ছিল। সেই বিশেষ দিনে বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়েছিল। প্রচুর মানুষের জমায়েত, নাচগান, অনুষ্ঠান, আতশবাজি পোড়ান হয়েছিল। তবে এই বিশেষ দিনে কোনও সামরিক কুচকাওয়াজ হয়নি। তাই দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন শুক্রবার ওই বিশেষ দিনেই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছিল। সামরিক কুচকাওয়াজ বন্ধ করে সামরিক বিশেষজ্ঞদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছিল।
এর আগে উত্তর কোরিয়া সবথেকে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল ২০১৭ সালে। তারপর এই প্রথম এজাতীয় শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞ উপেক্ষা করেই এজাতীয় পরীক্ষা করল কিম জং উন।
সম্প্রতি কিম জং উন নিজের শাসন ক্ষমতার ১০ বছর উদযাপন করেছেন। সেই উপলক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কাস পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশটি লড়াই করেছে। তাঁর বক্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও উল্লেখ ছিল ছিল। কারণ তিনি বলেছেন স্ব-আরোপিত অবরোধ ও করোনাভাইারসের মহামারির কারণে দেশটি খাদ্য ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করছে।
তিনি বলেন উন্নয়নের লক্ষ্যেই তিনি কাজ করবেন। মানুষের জীবনের মান উন্নত করারই তাঁর প্রধান কাজ। তিনি ২০২১ সালের কঠোর পরিস্থিতির কথাও স্বীকার করেনিয়েছেন নতুন বছরে। যদিও আগে তাঁকে কখনই এতটা সুর নরম করতে শোনা যায়নি। যাইহোক তিনি বলেন, মানুষের জন্য খাবার, বস্ত আর বাসস্তানের সমস্যা সমাধান করে এগিয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া। তিনি আরও বলেন কোরিয়া উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীল সামরিক পরিবেশের কারণে পিয়ংইয়ং তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে জোরদার করতে বাধ্য হচ্ছে।
খিচুড়িতে নুন বেশি দেওয়ায় 'শাস্তি', স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করল স্বামী
সাম্প্রদায়িক হিংসায় প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন মমতা-সনিয়াসহ ১৩ বিরোধীর
হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে হিংসার অভিযোগে গ্রেফতার ১৪, এক ব্যক্তির গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্ক