সংক্ষিপ্ত
ভারত ও ভূটান - প্রতিবেশী এই দুই রাষ্ট্রের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত চিন সীমান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেনি। কিন্তু ১২টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধী সমাধান করেছে।
ভারতের (India) সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত এখনও পুরোপুরি মেটেনি। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের (Eastern Ladakh Sector) বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও ভারত-চিন (India-China) দুই দেশের সেনা মুখোমুখি অবস্থান করে রয়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় চিন নতুন সীমান্ত সুরক্ষা আইন (New Border Law) পেশ করেছে। সূত্রের খবর দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্যই এই আইন পাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে চিনের এই নতুন সীমান্ত সুরক্ষা আইন নয়া দিল্লি-বেজিং সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
ন্যাশানাল পিপিলস কংগ্রেস বাএনপিসি(NCPC)-র স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শনিবার একটি আইনসভার অধিবেশনে আইনটি অনুমোদন করেছে বলে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। নতুন এই আইন আগামী বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই আইনে বলা হয়েছে 'গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পবিত্র আর অলঙ্ঘনীয়'। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে রাজ্য আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও স্থলসীমার সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেবে। স্থলসীমার পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও কাজ থেকে রক্ষা করবে।প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
Ola Scooter: কী করে চার্জ দেবেন ওলা স্কুটারে, CEO-র একটি ভিডিওতে মুশকিল আসান
৩ বছর পর Myntraর সঙ্গে যাত্রা শেষ অমর নাগারামের, জানালেন Flipkart কর্তা
Covid Advisory: উৎসবের মরশুমে সাবধান, কোভিড উপদেশাবলী জারি কেন্দ্রের
চিনের নতুন এই আইনে রীতিমত জোর দেওয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়নের ওপর। আইনে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায়, পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি জনসেবা ও খেলাধূলার ব্যবস্থা করা হবে। এলাকায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। রাষ্ট্র সমতা পারস্পরিক বিশ্বাস আর বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শের নীতি অনুসরণ করে চলবে। বিরোধী ও দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে স্থলসীমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে।
ভারত ও ভূটান - প্রতিবেশী এই দুই রাষ্ট্রের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত চিন সীমান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেনি। কিন্তু ১২টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধী সমাধান করেছে। তবে সম্প্রতি নতুন করে নেপালের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে চিন। গত সপ্তাহেই ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছিলেন যে পূর্ব লাদাখ সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকার ঘটনা দুই দেশের সীমান্তের শান্তি ও প্রশান্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলছে। তবে পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশ একের পর এক বৈঠক করছে। ভারত আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানে জোর দিচ্ছে।