সংক্ষিপ্ত

  • হংকং নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করেছে তিন
  • যা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলি কড়া প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে
  • হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে এই পদক্ষেপ
  • এমন অভিযোগই উঠছে জিনিপং প্রশাসনের বিরুদ্ধে

গত সপ্তাহেই হংকং নিয়ে বহু বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে চিনের সংসদে। এরপরেই গত বুধবার হংকংয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক নতুন অফিস খুলেছে চিন। মানবাধিকার সংগঠন ও হংকংয়ের বিক্ষোভকারীর দাবি করছেন, এই আইন করা হয়েছে প্রতিবাদ রুখতে। বলা হচ্ছে, এর ফলে হংকংয়ের মানুষ যেটুকু স্বাধীনতা ভোগ করতেন তার ইতি ঘটবে। চিনের এই নতুন নিরাপত্তা আইন নিয়ে আন্তর্জাতির মঞ্চ থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতি এবার হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাতিল করেল অস্ট্রেলিয়া।

এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, চিনের নতুন আইন হংকংয়ের স্বতন্ত্র আইনকে খর্ব করেছে। বেজিং হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে ধ্বংস করছে বলেও মন্তব্য করেন মরিসন। তাই চিনের নতুন নিরাপত্তা আইনের কারণে হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাতিল করছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত হংকংয়ের বাসিন্দাদের ভিসার মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। 

আরও পড়ুন: বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রেমডেসিভির মিলছে এদেশে, সিপরেমির দাম এক হাজার টাকা কমাল সিপলা

মরিসন জানায়, হংকংয়ের বাসিন্দাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় হংকংয়ের বাসিন্দাদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেয়ার ইঙ্গিতও দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিদেশী ছাত্রদের ভিসা বাতিল নিয়ে সরগরম আমেরিকা, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা হার্ভার্ড-এমআইটির

মরিসন জানান, হংকংয়ের বাসিন্দাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই সময়ে হংকংয়ের বাসিন্দাদের স্থায়ী ভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়ার ইঙ্গিতও দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বর্তমানে ১ লাখের বেশি হংকংয়ের নাগরিক পড়াশোনা এবং কাজের জন্য বসবাস করেন। এদিকে চিনের নতুন নিরাপত্তা আইনের কারণে কানাডা এবং যুক্তরাজ্যও হংকংয়ের সঙ্গে আগেই বন্দি বিনিময় চুক্তি বাতিল করেছে।