সংক্ষিপ্ত
- সামনেই দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
- তার আগেই বড় বিপদ ঘটল আইভরি কোস্টে
- মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাঝেই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী
- প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ছিলেন
মাত্র ৬১ বছর বয়সেই চলে গেলেন আইভরি কোস্টের প্রধানমন্ত্রী আমাদৌ গোন কুলিবালি।জানা গেছে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠক চলছিল। সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলাকালীনই মৃত্যু হয় কুলিবালির।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিক আচি বলেন, আমি এমন খবর দিতে গিয়ে গভীরভাবে শোকাহত, প্রধানমন্ত্রী আমাদৌ বুধবার সন্ধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর তার মৃত্যু হয়।
চলতি বছর অক্টোবরেই রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের ক্ষমতাসীন দল তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিল।এর আগে এই আফ্রিকান দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান ওতারি আর তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে ফ্রান্সে দুই মাসের হৃদরোগের চিকিৎসা শেষে সবে দেশে ফিরেছিলেন আমাদৌ। তাঁর মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট হাসান ওতারি এক বিবৃতিতে বলেন, পুরো দেশ আজ শোকাহত। প্রেসিডেন্ট জানান, মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাদৌ। পরে সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নেয়ে যাওয়া হয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট শোকপ্রস্তাবে বলেন, আমার ছোট ভাই আমাদৌর প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। গত ৩০ বছর ধরে তিনি আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, অনুরাগ ও আনুগত্যে দেশবাসী মনে রাখবে। একজন রাষ্ট্রনায়কের স্মৃতির প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণ ধ্বংস বন্ধ না হলে বিশ্বে বাড়বে মহামারি, ছড়াবে করোনার মতো আরও মারণ রোগও
এদিকে আমাদৌ গোন কুলিবালির মৃত্যুতে আইভরি কোস্টের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কিছুটা গৃহযুদ্ধের পর পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল। অতীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটিতে তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে ২০১২ সালে আমাদৌর হার্ট প্রতিস্থাপন করা হয়। গত ২ মে তিনি প্যারিসে যান হার্টে স্টেন্ট বসাতে। ফিরে এসে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের পাশে আমার জায়গা নিতে ফিরে এসেছি। আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে চাই। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় ছিল, তাঁদের মধ্যে আমাদৌ অন্যতম ছিলেন।