সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানি আইএসআই সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার বঙ্গবন্ধুর 'জাতির জনক' স্বীকৃতি বাতিল করে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে 'জাতির জনক' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৫ আগস্ট ও ৭ মার্চ সহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের ঘোষণাও করা হয়েছে।

পাকিস্তানি আইএসআই-এর অধীনে থাকা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া। বাংলাদেশের স্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের নাম মুছে ফেলার ঘোষণা আগেই করেছিল বাংলাদেশ। এবার থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান 'জাতির জনক'নয়, বাংলাদেশ খুঁজে নিল তাঁদের নয়া নাম। পাকিস্তানের স্রষ্টা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির নায়ক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে 'জাতির জনক' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ১৫ আগস্ট ও ৭ মার্চ-সহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের ঘোষণার পাশাপাশি ‘হুজি’ জঙ্গি ও ইউনূস সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বঙ্গবন্ধুর ‘জাতির জনক’ স্বীকৃতি বাতিলের ঘোষণা করেন। ওপার বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেই সময়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর নাম চিরতরে মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

একই দিনে ‘জাতির জনক’ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃতি বাতিলের ঘোষণা করছেন নতুন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, '১৫ আগস্ট বা ৭ মার্চ কোনও গুরুত্বপূর্ণ দিন নয়। এ ছাড়া শেখ মুজিবরকে দেশের মানুষ জাতির পিতা মনে করে না। তাই 'জাতির জনক' হিসেবে তার স্বীকৃতি বাতিল করা হচ্ছে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছি।''