সংক্ষিপ্ত

শনিবার ভোর রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্য দুষ্কৃতীরা রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও শ্রীশ্রী মহাভাগ্যলক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই মন্দিরটি তুরাগ থানার অধীনে ধৌর গ্রামে অবস্থিত।

 

বাংলাদেশে পুড়িয়ে দেওয়া হল ইসকন-এর আরও একটি সেন্টার। ইন্টারন্যাশালান সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস বা ইসকন শনিবার কলকাতা থেকে এই অভিযোগ করেছে। সংস্থারক পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী বাংলাদেশের ঢাকা জেলারয় তাদের একটি কেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়া গয়েছে। ইসকন-র কলকাতার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য ও বৈষ্ণব ধর্মের সদস্যদের টার্গেট করা হচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। নামহাট্টায় ইসকনের সেন্টারে ভাঙচুর কার হয়েছে। মূর্তি পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওযা হয়েছে। ' তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাধাকৃষ্ণের ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তির ঠবি শেয়ার করেছেন।

শনিবার ভোর রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্য দুষ্কৃতীরা রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও শ্রীশ্রী মহাভাগ্যলক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই মন্দিরটি তুরাগ থানার অধীনে ধৌর গ্রামে অবস্থিত। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাধারমণ দাস আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের পিছনের টিনের ছাদটি তুলে পোট্রোল ঢেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেছেন, হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসকন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ উদাসীন। তাদের উদ্বেগ দূর করার জন্য প্রশাসন কিছুই করছে না।

ইসকন কর্তা আগেও বলেছিলেন ইসকন ইন্ডিয়া বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেছিলেন বাংলাদেশের মানুষ তাদের সন্ন্যাসীদের তিলক না কাটার নির্দেশ দিয়েছে। ফতোয়া জারি করা হয়েছে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুশীলতের ওপর। তিনি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ও জামিন না পাওয়ারও তীব্রনিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন হিন্দুদের কোনঠাসা করার চক্রান্ত।

হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই বাংলাদেশে একের পর এক টার্গেট করা হচ্ছে ইসকন সেন্টারকে। ইসকনের সম্পত্তিও লুঠপাট চালান হচ্ছে। ইসকনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে উপাসনালয়ের বিরুদ্ধে এই ঘৃণা ক্ষমার অযোগ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।