সংক্ষিপ্ত
ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলার নিয়ামতপুর গ্রামে নিয়ামতপুর দূর্গা মন্দিরে হামলা চালান হয়। রাতের অন্ধকারে হামলা চালান হয়। ভেঙে দেওয়া হয় পাঁচটি মূর্তি।
আবারও বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি মন্দির তছনছ করে দেওয়া হয়। মন্দিরে থাকা বেশ কয়েকটি মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা ৩৬ বছর বয়সী খলিল মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নিয়ামতপুর গ্রামে নিয়ামতপুর দূর্গা মন্দিরে হামলা চালান হয়। রাতের অন্ধকারে হামলা চালান হয়। মন্দিরে থাকা মূর্তি একের পর এক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনা সামনে আসতেই এলাকাবাসী তৎপর হয়। নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেয়। অভিযুক্তকে রাতের অন্ধকারে মন্দির থেকে তাড়া করে। তারপরই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শেষপর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় পাকড়াও করা হয় খলিল মিয়াকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, খলিল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে তার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল তা জানার চেষ্টা করথে পুলিশ। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছেন খলিল মিয়াকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
নিয়মতপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি জগদীশ দাস বলেছেন, আকস্মিক ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ আর অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনায় রীতিমত ভীত আর সন্ত্রস্ত। কারণ এই একারা আগে কখনই মন্দিরে হামলা হয়নি। এই এলাকার হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, খলিল মিয়া এই এলাকার বাসিন্দা নয়। সে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও কোনও বিষয়ে কথাকাটিতে জ়ড়িয়ে পড়ে। তা চরম আকার নেয়। রীতিমত ঝগড়াঝাটি বেধে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। তারপরই খলিল মিয়া নিজেকে নিয়ন্ত্রণে না রেখে মন্দিরে প্রবেশ করে। তারপর একে একে পাঁচটি দেবতার মূর্তি ভেঙে ফেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ম ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।