সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে অব্যাহত নৈরাজ্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পদ্মাপারের অশান্তির খবর নতুন কিছু নয়। দিন যত যাচ্ছে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। উঠে এসেছে বহু অভিযোগ। পদ্মাপাড়ের এই অরাজকতার আবহে ফের সেনার অভ্যুত্থান নিয়
ঢাকা: বাংলাদেশে অব্যাহত নৈরাজ্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পদ্মাপারের অশান্তির খবর নতুন কিছু নয়। দিন যত যাচ্ছে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। উঠে এসেছে বহু অভিযোগ। পদ্মাপাড়ের এই অরাজকতার আবহে ফের সেনার অভ্যুত্থান নিয়ে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে সৈন্যদের ঢাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন (Bangladesh News) সে দেশের সেনাপ্রধান। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, শুক্রবারের মধ্যে সাঁজোয়া যান এবং প্রতিটি ব্রিগেড থেকে ১০০ জন সৈন্যকে ঢাকায় (Dhaka) জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেনা প্রধানের তরফে এই নির্দেশ পাওয়ার পরই সাভারের থেকে নবম ডিভিশনের সৈন্যরাও ঢাকায় পৌঁছতে শুরু করেছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর এই নির্দেশ দুটি ঘটনার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে বলে মনে করছে সে দেশের জনগণ। সাস্প্রতিক কালে বাংলাদেশে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে যার জন্য সেনাবাহিনী এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের (Bangladesh News) ছাত্র নেতা ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, জেনারেল ওয়াকার উজ জামান অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইউনূসের হাতে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এর আগে আরেক ছাত্র নেতা গত ১১ মার্চ জেনারেল জামাতের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক করার পর হাসনাত আবদুল্লাহ নামের ওই ছাত্র নেতা প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কারণ, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামি লিগ এবং হাসিনার ফিরে আসার ব্যাপারে মন্তব্য করেছিলেন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্র নেতা সেনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওয়াকিববহাল মহলের মতে, বাংলাদেশে যারা বর্তমানে ক্ষমতায় আছে তারা চাইছে সেনার ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্ণ করতে। আর তা জোরকদমে প্রতিহত করতে ফের বাংলাদেশ সেনার সাজসাজ রব বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।