সংক্ষিপ্ত
প্রতিশ্রুতি ছিল,'বরিশালকে সিঙ্গাপুর' করার। তবে কাজের বেলায় তার বিন্দুমাত্র লক্ষণও দেখা যায়নি।
আজ ১২ জুন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বরিশালে। কোন দিকে যাবে জনতার রায় এখন সেটাই বড় প্রশ্ন। এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ৩৫ দফা, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ৩০ দফা, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম ১৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনের আগে প্রচারও চলেছে জোড়দার। ভার্চুয়ারি বিজ্ঞাপন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিশ্রুতি, প্রচারনার কোনও পন্থাই বাদ দেননি প্রার্থীরা। প্রতিশ্রুতি ছিল,'বরিশালকে সিঙ্গাপুর' করার। তবে কাজের বেলায় তার বিন্দুমাত্র লক্ষণও দেখা যায়নি। তাই এবার আর প্রতিশ্রুতিতে চিড়ে ভিজবে না। নিজের মর্জিতেই ভোট দিতে চান প্রার্থীরা।
এত দিন নানা প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বরিশালবাসী। বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছিলেন বরিশালকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে দেবেন। বছর ঘুরে গেলেও সিঙ্গাপুর দূরে থাক ন্যূনতম কাজও হয়েনি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তার আগে মেয়র ছিলেন আহসান হাবিব কামাল। তিনিও নগরের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজই করেননি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। উপরোন্তু বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিভিন্ন সময় অপদস্ত করেছেন নাগরবাসীকে। অতএব এবার কাউন্সিলর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন শহরবাসী।
অন্যদিকে কিছু জনের বক্তব্য বিগত ২৫ বছর বরিশালের ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একজনই। এবারও তিনি এসে নানা অঙ্গিকার করেছেন। কিন্তু বিগত কিছু বছরে অঙ্গিকার মতো কোনও কাজই না হওয়ায় এবার বদল চাইছেন বাসিন্দারা। বিকল্প কাউকে বেছে নিতেই বেশি আগ্রহী তাঁরা। অপর এক ওয়ার্ডের বাসিন্দা একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, 'কথায় বিশ্বাস কমে গিয়েছে।' তিনি জানিয়েছেন ভোটের আগে নৌকা, লাঙ্গল, হাতপাখা ও টেবিল ঘড়ির প্রার্থীরা এসে নানা কথা বলে গিয়েছেন। পাশাপাশি বর্তমান মেয়রের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেছেন,'সাদিক ভাই সিঙ্গাপুর বানানোর কথা বলেছিলেন। কিছুই করতে পারেনি।' বরিশালের সিঙ্গাপুর হওয়ার অলিক স্বপ্নে আস্থা নেই নগরবাসীর। বরং প্রকৃত উন্নয়ই চাইছে তাঁরা।
আরও পড়ুন -
১১ মাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে, আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছে হাসিনা সরকার
জল নেই-খাবার নেই, সাইক্লোন মোকায় বিধ্বস্ত দ্বীপ সেন্ট মার্টিন লড়াই চালাচ্ছে