সংক্ষিপ্ত

ব্রিটিস পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডস-এ মানবাধিকার সংহঠন ভয়েস ফর বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনাসভায় এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন ২০২৬ সালের আগে ভোট করা সম্ভব নয়।

 

শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে দেখতে দেখতে তিন মাাস হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন কবে হবে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার বংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই বিষয়ে মুখ খুলেছে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলল মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরতে এখনও কমকম দেড় বছর লাগবে।

 

বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে ব্রিটিস পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডস-এ মানবাধিকার সংহঠন ভয়েস ফর বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনাসভায় এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, '২০২৬ সালের মাধামাধি জাতীয় সংদরের ত্রয়োদশ নির্বাচন হতে পারে।' চলতি বছর আগস্ট মসে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে কবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরবে আর কবে বাংলাদেশে হবে সাধারণ নির্বাচন। চাই নিয়ে এর আগেও একাধিকবারই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছে ইউনুস সরকার। যদিও এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে সাধারণ নির্বাচনের বিষয়টি।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই মহম্মদ ইউনুস সরকার জানিয়েছিল যতদ্রুত সম্ভব তত দ্রুত বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন আয়োজিত করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন ২০২৫ সালেই হবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী নির্বাচন। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেন। আরও পিছিয়ে দিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফেরার সময়। তাই সাধারণ নির্বাচন করায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা উৎসাহী তাই নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

যদিও মহম্মদ ইউনুস সরকার বাংলাগেশের ভোট পরিচালনা করার জন্য কাজ শুরু করেছে। যোগ্য ব্য়ক্তিদের বাছাই করতে ৩০ অক্টবর ৬ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। সরকারের তরফে জানানো হয়, ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদের ক্ষেত্রে দু’জন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। তাঁদের মধ্যে থেকে কোনও এক জনের নাম বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু তার পর নতুন নির্বাচন কমিশনের ভোটের আয়োজন করতে কেন দেড় বছর লেগে যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।