সংক্ষিপ্ত
ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি। ক্ষমতা দখলের পর ভারত ইস্যুতে সুর নরম ইউনূস সরকারের! যদিও ভারতের বিরুদ্ধে (India Bangladesh Relation) বিষেদাগাার ছড়াতে এখনও ভোলেননি হাসনাত-মাহফুজরা। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Mod
ঢাকা: ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি। ক্ষমতা দখলের পর ভারত ইস্যুতে সুর নরম ইউনূস সরকারের! যদিও ভারতের বিরুদ্ধে (India Bangladesh Relation) বিষেদাগাার ছড়াতে এখনও ভোলেননি হাসনাত-মাহফুজরা। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করতে উদগ্রীব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Yunus)।
সূত্রের খবর, ব্যাংককে বসতে চলেছে বিমস্টেক সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকববেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস। জানা গিয়েছে, ওই সম্মেলনের ফাঁকে একান্তে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে ইচ্ছুক তিনি। এদিকে তিনিই সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। এমনকি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে (Bangladesh News) আওয়ামি দল নিষিদ্ধ নয়।
তবে মোদিকে খুশি করতে যে ইউনূস এতকিছু করছে তাঁর দলের লোকেরা অবশ্য এখনও ভারতের বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার চালাতে দু'বার ভাবছেন না। পদ্মাপাড়ে হাসিনা সরকার বিদায়ের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে, হাসনাত-মাহফুজদের কথাতেই চলছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় হাসনাত নাকি সম্প্রতি দাবি করেছেন, বাংলাদেশ সেনার তরফে সম্প্রতি তাঁকে ক্যান্টনমেন্টে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধমক দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতায় ফিরুক আওয়ামি লিগ। এমনটাই নাকি চাইছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় ফেরাতে নাকি ঘুঁটিও সাজাচ্ছে Bangladesh Army Chief।
এদিকে, হাসনাত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছিলেন যে, হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারকে ফের ক্ষমতায় ফেরাতে ভারতের হাত রয়েছে। যদিও এর স্বপক্ষে কোনও উল্লেখযোগ্য প্রমাণই দিতে পারেননি ওই ছাত্রনেতা। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিপ্লবী ছাত্রনেতা মাহফুজ আলম আওয়ামি লিগ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, আওয়ামি লিগ দলের সুতো ধরা হয় দিল্লি থেকে আর ঘুড়ি ওড়ে বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, এই মাহফুজ আলমকে নিউ ইয়র্কেও নিয়ে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে গিয়ে তাঁকে হাসিনা সরকারের উৎখাতের অন্যতম নায়ক হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আর যেখানে ইউনূস এখন ভারতের সঙ্গে সংযত হয়ে কথা বলছে সেখানে, তাঁর দলের লোকজন ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে।
জানা গিয়েছে, ব্যাংককে যাতে মোদি-ইউনূস বৈঠক হয়, তার জন্য বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দিল্লির কাছে একটি আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও বাংংলাদেশের এই আবেদনে দিল্লি সাড়া দেবে কিনা সেই উত্তর অবশ্য সময়ই বলবে। তবে এতকিছুর পরও বাংলাদেশের জনগণের ভারত বিরোধী সুর থামেনি। এখন দেখার মোদি-ইউনূস বৈঠকের সম্ভাবনার জল কোনদিকে গড়ায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।