পড়শী দেশে এখনও থামেনি অশান্তির আবহাওয়া। হিন্দুদেরর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় বারে বারে সংবাদ শিরোণামে উঠে পড়শী দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh News) নাম। শুধু তাই নয়, সেদেশের সংখ্যালঘুদের (Minor Community) উপর আক্রমণ করতে গিয়ে কখনও ভারতকে বড় বড় হুংকার দিয়ে

ঢাকা: পড়শী দেশে এখনও থামেনি অশান্তির আবহাওয়া। হিন্দুদেরর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় বারে বারে সংবাদ শিরোণামে উঠে পড়শী দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh News) নাম। শুধু তাই নয়, সেদেশের সংখ্যালঘুদের (Minor Community) উপর আক্রমণ করতে গিয়ে কখনও ভারতকে বড় বড় হুংকার দিয়ে বসছে পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। ভারত নিয়ে (Indai Bangladesh) কখনও গরম কখনও নরম সুর তাদের গলায়। এবার এই আবহে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Yunus News)।

জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিয়ে সময়সীমার পুনর্বিন্যাস করল বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। আগে এই সময়সীমা ছিলো ৬৫ দিনের। বর্তমানে তা কমিয়ে ৫৮ দিন করল ইউনূস সরকার। যারফলে মনে করা হচ্ছে, ভারত সরকারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিয়ে সময়সীমার সামঞ্জস্য রেখে প্রায় একই সময়ে সময়সীমার পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Govt)।

শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধ থাকত (Fishing Bay Of Bengal):-

এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রকের তরফে। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক 'প্রথম আলোয়' প্রকাশশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের আমলে বাংলাদেশের জলসীমায় অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকত ৬৫ দিনের। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫। এবং ভারতে সেই নিষেধাজ্ঞার সময় হল- ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন। অর্থাৎ মোট ৬১ দিন।

এই বিষয়ে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল। তাঁদের দাবি, ভারতীয় মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের (Bangladesh Border) জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরে নিয়ে চলে যায়। যারফলে কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হত। পাল্টা অভিযোগ উঠত ভারতীয় মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির তরফেও। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন (15 April 11 June) পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরতে পারবেন না।

 অন্যদিকে, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh Chandpur) চাঁদপুরের কান্ট্রি ফিশিংবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনয়ের সভাপতি শাহ আলম মল্লিক। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের নয়া এই সিদ্ধান্তে বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় সীমানা লঙ্ঘনের ঘটনা কম ঘটবে। যারফলে অপরাধের সংখ্যাও কম হবে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে কিনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।