সংক্ষিপ্ত
WHO SEARO আঞ্চলিক পরিচালক বিশেষজ্ঞ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং ৭৬তম আঞ্চলিত কমিটির অধিবেশনে এই সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ মালদ্বীপ ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ যারা কালাজ্বর সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। এটি একটি গ্রীষ্ণমণ্ডলীয় রোগ যা দরিদ্রদের প্রভাবিত করে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ২০১৭ সালে প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে একজনেরও কম মানুষ কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্র অর্জন করেছে। কোভিড -১৯ মাহামারির বিপর্যয়ের মধ্যেও বাংলাদেশ কালাজ্বর নির্মূলের কাজ চালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ রীতিমত প্রশংসাযোগ্য বলেও দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মালদ্বীপের কুষ্ঠরোগ সংক্রমণে বাধা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রুবেলা নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে। মালদ্বীপ হল প্রথম দেশ যেটি কুষ্ঠরোগের সংক্রমণে বাধার বিষয়টি যাচাই করে, একটানা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কোনও শিশুর ক্ষেত্রে সনাক্ত না হওয়ার মাইলফলক অর্জন করেছে৷ বর্তমানে মালদ্বীপে একজনও কুষ্ঠরোগ আক্রান্ত মানুষ নেই। মালদ্বীপের এই সাফল্যের কারণ হিসেবে শক্তিশালী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও অবৈষম্য ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা তুলে ধরেছে।
WHO SEARO আঞ্চলিক পরিচালক বিশেষজ্ঞ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং ৭৬তম আঞ্চলিত কমিটির অধিবেশনে এই সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ মালদ্বীপ ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করার জন্য বাংলাদেশকে এবং রুবেলা নির্মূলের জন্য ভুটান এবং তিমুর-লেস্তেকে অভিনন্দন জানান।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালে কালাজ্বরের প্রকোপ মারাত্মক। ২০০৪-০৮ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ আক্রান্তই ছিল এই তিন দেশের। তিনটি দেশে ২০০৫ সালে কালাজ্বর নির্মূলের উদ্যোগ নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভূটান ও থাইল্যান্ড এই প্রকল্পের অংশ হয় ২০১৪ সালে। এই অঞ্চলে গত ১০ বছরে কালাজ্বর ৯৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।